প্রতীকী ছবি।
দুপুরে ঠাকুরমার কাছে খাবার পৌঁছে দিয়ে সেখানে বসে কিছু জরুরি কাজ সারছিলেন নাতি। অভিযোগ, আচমকা সেই বাড়িতে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় আর এক ব্যক্তি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি সম্পর্কে বৃদ্ধার নাতির কাকা। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভবানীপুর থানা এলাকার গাঁজা পার্ক সংলগ্ন ১১, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল লেনে। অভিযুক্ত মনোজ সাউকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ভবানীপুরেরই একটি খুনের মামলায় দীর্ঘ ১৮ বছর জেলে ছিল ওই যুবক। দু’বছর আগে কলকাতা হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়।
এ দিন ঠিক কী হয়েছিল? প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই বৃদ্ধার নাতি কুণাল সাউ জানিয়েছেন, তিনি পেশায় প্রোমোটার। কয়েক দিন ধরেই তাঁর কাছে টাকা চাইছিল মনোজ। কিন্তু টাকা পায়নি। এ দিন ল্যান্সডাউনের বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে কুণাল শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল লেনে ঠাকুরমা সাবিত্রী সাউয়ের কাছে এসেছিলেন। সেই খবর কোনও ভাবে পৌঁছে যায় মনোজের কাছে। কুণালের অভিযোগ, টাকা না পাওয়ার রাগ মেটাতেই বাড়িতে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করে মনোজ। সেটি ওই যুবকের গা-ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। যদিও কুণাল পরে থানায় জানান, গুলিটি ফেটে গিয়েছিল। সেটাই ছিটকে তাঁর গায়ে লাগে। বৃদ্ধা সাবিত্রীদেবীও হাতে আঘাত পান।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন দুপুর দেড়টা নাগাদ খবর আসে, কুণাল ওরফে বিট্টু নামে শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল লেনের এক বাসিন্দাকে গুলি করেছে মনোজ। খবর পেয়েই পৌঁছে যান কুণালের বাড়ির লোকজন এবং বন্ধুরা। পৌঁছয় ভবানীপুর থানার পুলিশ। তারাই কুণাল এবং সাবিত্রীদেবীকে উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে যান। ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেফতার করা হয় মনোজকে।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এ দিন দুপুরে গুলির আওয়াজ পেয়ে তাঁরা সাবিত্রীদেবীর বাড়ি গিয়ে দেখেন, কুণাল চেপে ধরে রয়েছেন মনোজকে। মনোজের হাতে পিস্তল। সে ভাইপোর হাত থেকে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করে চলেছে। ডিসি (দক্ষিণ) মিরাজ খালিদ জানিয়েছেন, কেন মনোজ এমন করল, তার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে কুণাল পুলিশকে জানিয়েছেন, টাকা না পেয়েই কাকা তাঁকে মারতে এসেছিল।