প্রতীকী ছবি।
জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা দিতে বাবার সঙ্গে হাওড়ায় এসেছিলেন ছেলে। পরীক্ষার পরে গঙ্গায় স্নান সেরে ঘাটে বসে ছিলেন দু’জনে। পরে অন্য বন্ধুরা এসে ফের ওই পড়ুয়াকে গঙ্গায় নামতে জোরাজুরি করলে তিনি জলে নামেন। এর পরে আচমকাই তলিয়ে যান জামশেদপুর থেকে আসা ওই পড়ুয়া এবং তাঁর এক বন্ধু। পরে দু’জনের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শনিবার সন্ধ্যায়, হাওড়ার রামকৃষ্ণপুর ঘাটের ঘটনা।
পুলিশ জানায়, ওই দু’জনের নাম আদিত্য কুমার ও সৌম্য মাহাতো। বয়স ১৮-র কাছাকাছি। শুক্রবার জামশেদপুর থেকে এসে বাবা চন্দ্রশেখর কুমারের সঙ্গে হাওড়ার এক হোটেলে ওঠেন আদিত্য। চন্দ্রশেখর জানালেন, আদিত্যের কয়েক জন বন্ধুও পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। সেখানে একটি স্কুলে পরীক্ষার সিট পড়েছিল তাঁদের। চন্দ্রশেখর বলেন, ‘‘পরীক্ষার পরে দু’জনে গঙ্গায় স্নান করে বসে ছিলাম। তখন আরও পাঁচ বন্ধু এসে ফের ছেলেকে জলে নামতে বলে। তার পরেই কী যে হয়ে গেল!’’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, ঘাটে সকলে স্নান করছিলেন। আচমকাই আদিত্য ও সৌম্য ভেসে যান। অন্যেরা বাঁচানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। খবর পেয়ে হাওড়া থানার পুলিশ ও বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীরা আসেন। নামানো হয় ডুবুরিও। প্রায় ঘণ্টাখানেক তল্লাশির পরে প্রথমে আদিত্য ও পরে সৌম্যের দেহ উদ্ধার হয়। দু’জনকেই হাওড়া জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। সৌম্যের পরিবারকে খবর দিয়েছে পুলিশ।