—প্রতীকী চিত্র।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোর টানাপড়েন শুরু হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের ৩৮ নম্বর আসনে। সেখানে দুই দাপুটে নেতা একই সঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাঁদের এক জন ভূমি ও অরণ্য বিভাগের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ এ কে এম ফারহাদ। অন্য জন শাসন অঞ্চলের দাপুটে নেতা আব্দুল রউফ। যিনি শাসনের ‘শাসক’ মজিদ মাস্টারকে ১৯৯৮ সালে জেলা পরিষদের নির্বাচনে পরাজিত করে প্রচারের আলোয় এসেছিলেন। তার পরে রউফ জেলা পরিষদে তৃণমূলের তরফে বিরোধী দলনেতা হিসাবে নির্বাচিত হন।
ফারহাদ এবং রউফ, দু’জনেই আদতে খড়িবাড়ির আন্দুলিয়ার বাসিন্দা। দলীয় সূত্রের খবর, ফারহাদ পরবর্তী সময়ে রাজারহাটের নিউ টাউনের বাসিন্দা হয়ে যান। গত জেলা পরিষদের নির্বাচনের আগে তিনি আন্দুলিয়ায় ফিরে আসেন। অন্য দিকে, রউফ বরাবরই রাজনীতি করেছেন আন্দুলিয়া থেকে। ৩৮ নম্বর আসনের অধীনে রয়েছে দাদপুর, কীর্তিপুর-১ ও কীর্তিপুর-২। এই তিনটি পঞ্চায়েতের মধ্যে আন্দুলিয়া কীর্তিপুর-১-এর মধ্যে পড়ে। তৃণমূলের একটি অংশের খবর, ওই সব এলাকা থেকে এ বার ‘ভূমিপুত্র’ হিসাবে রউফকে প্রার্থী করার জন্য সব স্তর থেকেই দাবি উঠেছে। রউফ জানান, উচ্চতর নেতৃত্বের নির্দেশেই তিনি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘বুথ স্তর থেকেই আমার নাম গৃহীত হয়েছে। আচমকাই দেখলাম ফারহাদ সাহেবও মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।’’
একই দাবি করে ফারহাদও বলেন, ‘‘আমাকে তো দলই নির্বাচনে দাঁড়াতে নির্দেশ দিয়েছে। রউফ কেন দাঁড়িয়েছেন, সেটা উনিই বলতে পারবেন।’’ সূত্রের খবর, রাজ্য স্তরের দুই বড় নেতার সমর্থন রয়েছে ফারহাদের পিছনে। অন্য দিকে রউফের পিছনে রয়েছেন বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার নেতৃত্বের একাংশ। বারাসত-২ ব্লকের নেতাদের একাংশ এমনও দাবি করেছেন যে, রউফকে কে হারায়, সেটা তাঁরাও দেখতে চান।
বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার নেতাদের দাবি, রউফের নাম এসেছে তৃণমূল স্তর থেকে। চেয়ারম্যান তথা হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের কথায়, ‘‘অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতিরা মিলে নাম পাঠিয়েছেন তৃণমূল স্তরে আলোচনার পরে। আমরা জেলা স্তর থেকে রাজ্য স্তরে নাম পাঠিয়ে দিয়েছি। এর পরে দলের সিদ্ধান্ত।’’ বারাসত-২ ব্লকের সভাপতি শম্ভুনাথ ঘোষ কোনও মন্তব্য করেননি। অন্য দিকে, ৪১ নম্বর আসনেও ইছা হক সর্দার এবং রবিউল ইসলাম নামে দুই তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন নিয়ে গোলমাল শুরু হয়েছে।