প্রতীকী ছবি।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ফের মৃত্যু হল কলকাতা পুলিশের এক কর্মীর। শনিবার মারা গেলেন ট্র্যাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। গত শনিবারই শেক্সপিয়র সরণি থানার এক কনস্টেবল করোনায় মারা যান। সাত দিনের ব্যবধানে দুই পুলিশকর্মীর মৃত্যু উদ্বেগ বাড়িয়েছে লালবাজারের।
শিয়ালদহ ট্র্যাফিক গার্ডে কর্মরত নৈহাটির বাসিন্দা ওই কনস্টেবল গত ৪ জুন কিডনির সমস্যা নিয়ে নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখানে চিকিৎসার জন্য তাঁর করোনা পরীক্ষা করলে রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তার পরেই তাঁকে গত রবিবার এনআরএস থেকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ দিন সকালে সেখানেই ৪৫ বছরের ওই কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। শেষের দিকে তাঁকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
লালবাজার থেকে জানানো হয়েছে, প্রথম সারিতে থেকে করোনা মোকাবিলার কাজ করেছিলেন তিনি। তাঁর পরিবারের হাতে সরকারি বিমার ১০ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: মহুয়াকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূলের নিশানায় ‘ললিপপ’ ধনখড়
গত শনিবার মৃত শেক্সপিয়র সরণি থানার ওই কনস্টেবলের এ দিন স্মরণসভা ছিল ডিসি (সাউথ)-এর অফিসে। তিনি আদতে সেখানকারই কর্মী ছিলেন। লকডাউনের সময়ে তাঁকে থানায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল বলে লালবাজার সূত্রের খবর। স্মরণসভায় উপস্থিত থেকে প্রয়াত কনস্টেবলকে শ্রদ্ধা জানান কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা-সহ অন্য আধিকারিকেরা। মৃতের পরিবারের হাতে পুলিশের তরফ থেকে ১ লক্ষ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়। খুব শীঘ্রই সরকারি ঘোষণা মতো সরকারি বিমার ১০ লক্ষ টাকাও তাঁদের দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে যাদবপুর থানার এক সাব ইনস্পেক্টরের করোনা ধরা পড়েছে। তাঁকে শনিবার বিকেলে যাদবপুরের এক বেসরকারি করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই নিয়ে যাদবপুর থানার সাত জন করোনায় আক্রান্ত হলেন। বাকি ছ’জন কনস্টেবলও ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সেখান থেকেই এ দিন ৩৮ জন পুলিশকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পরে সুস্থ হয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, করোনায় এ দিন পর্যন্ত ২৬৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। প্রতিদিনই ৮-১০ জন করে পুলিশকর্মী আক্রান্ত হচ্ছেন। পদস্থ আধিকারিকেরা জানান, কনটেনমেন্ট জ়োন থেকে শুরু করে সর্বত্রই পুলিশকর্মীদের প্রথম সারিতে থেকে কাজ করে যেতে হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে সংক্রমণের হার বাড়ার পাশাপাশি পুলিশের মধ্যেও সংক্রমণ বাড়ছে।