সল্টলেকে সোয়াইন ফ্লুয়ের প্রকোপ নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে এলাকাবাসীর। সম্প্রতি সেখানে ওই রোগে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত আরও দু’জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের এক জন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব। অন্য জন সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। মৃত ও আক্রান্তেরা প্রত্যেকেই সল্টলেকের বাসিন্দা।
নভেম্বরে সল্টলেকে সোয়াইন ফ্লুয়ে এক মহিলার মৃত্যু হয়। তার পরে কেষ্টপুরের এক বাসিন্দাও এই রোগে মারা যান। বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, আরও এক জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর এসেছে। পুরকর্তাদের অভিযোগ, বেসরকারি হাসপাতালগুলি সোয়াইন ফ্লুয়ের তথ্য ঠিক মতো দিচ্ছে না। এ নিয়ে তাদের চিঠি পাঠাচ্ছে পুরসভা। আপাতত পাড়ায় লিফলেট বিলি-সহ সচেতনতার প্রসারে জোর দেওয়া হচ্ছে ও কোথাও শুয়োরের খোঁয়াড় থাকলে কাউন্সিলরদের তা জানাতে বলা হয়েছে। সেই রিপোর্ট পেলে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়।
লিফলেট বিলির পাশাপাশি কোন কোন এলাকায় এই রোগ দেখা দিয়েছে, তা চিহ্নিত করে অভিযান চালানো হবে। বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর বিশেষজ্ঞদের এলাকায় পাঠাক। কী ভাবে রোগ ছড়াচ্ছে, তার উৎস সন্ধান করে পদক্ষেপ করা হোক। মঙ্গলবার সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তপন কর্মকারের (৭১)। ওই হাসপাতালেই ভর্তি রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব নারায়ণ কৃষ্ণমূর্তি এবং সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা ইলোরা চৌধুরী। বিধাননগরের ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই শিক্ষিকার অবস্থা স্থিতিশীল। প্রাক্তন মুখ্যসচিবের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারপার্সন কৃষ্ণা চক্রবর্তী জানান, বিষয়টি তাঁরা স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। প্রশাসন ব্যবস্থা নিচ্ছে। বাসিন্দারা জানান, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের নয়াপট্টিতে প্রায়ই শুয়োর দেখা যায়। স্থানীয় কাউন্সিলর তথা বরো চেয়ারম্যান বাণীব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ওই এলাকায় খোঁয়াড়ের কথা আগেই পুরসভাকে জানিয়েছেন। মোল্লার ভেড়ির কাছেও একই অবস্থা বলে অভিযোগ।