প্রতীকী ছবি।
আনলকের সময় আরও দু’ঘণ্টা বাড়ানো হচ্ছে কামারহাটিতে। সোমবার থেকে ওই নির্দেশ কার্যকর হবে বলে পুর কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছেন। এর ফলে ওই পুর এলাকায় দিনে সাত ঘণ্টা দোকান, বাজার-সহ অন্য পরিষেবা চালু থাকবে।
করোনা সংক্রমণের প্রকোপ ঠেকাতে কিছু দিন আগে ঘোষণা করা হয়েছিল, সকাল ৬টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দোকান-বাজার খোলা থাকবে। তার পর থেকে গোটা পুর এলাকায় জারি হবে লকডাউন। মূল রাস্তা ছাড়া পাড়ার রাস্তাতেও অটো, টোটো-সহ সব রকম যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ ছিল। এ বার সেই সময় বাড়িয়ে দুপুর ১টা পর্যন্ত করা হয়েছে। ওই সময়ের পর থেকে একই ভাবে লকডাউন চলবে বলেই জানিয়েছেন পুরকর্তারা।
পুরসভা সূত্রের খবর, ৩১ জুলাই পর্যন্ত কামারহাটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৬৬৫। অ্যাক্টিভ পজ়িটিভ ২৬০ জন। শেষ সাত দিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৪ জন। প্রতিদিনই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলেও কেন আনলকে দু’ঘণ্টা সময় বাড়ানো হল? পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, ‘‘ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, ঠিকা কর্মী, যান চালকেরা যাতে অন্তত এক বেলা রোজগার করতে পারেন, সে কথা ভেবেই এমন সিদ্ধান্ত। পরিস্থিতি বুঝে ফের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারে।’’ পুরসভা সূত্রের খবর, কামারহাটি পুর ভবনের উল্টো দিকে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে আপাতত ১৫টি শয্যার সেফ হোম চালু করা হচ্ছে। সেখানে আরও শয্যা বাড়ানো হবে। এ ছাড়াও অক্সিজেন, চিকিৎসক, নার্স-সহ অন্যান্য পরিকাঠামোর জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানিয়েছে পুরসভা।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)