উত্তর কলকাতার অরবিন্দ সেতু এবং দক্ষিণ কলকাতার বিজন সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই সেতু দু’টি বন্ধ রাখা হবে। যদিও এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও সময়সূচি এখনও স্থির হয়নি।
কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, শহরের সব ক’টি সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। কলকাতা পুলিশের সঙ্গে কথা বলে কর্মসূচি ঠিক করা হবে। পুলিশকে এই বিষয়ে জানানো হয়েছে বলে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন। কলকাতা ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা জানান, এই দু’টি সেতু বন্ধ রাখার ব্যাপারে কেএমডিএ-র তরফে আর্জি জানানো হয়েছে। কবে এই কাজ হবে তা নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে, শিয়ালদহ উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই এই কাজ শুরু হবে বলে পুলিশের আধিকারিকেরা জানিয়েছেন। এই দু’টি ক্ষেত্রেই শহরের কোন কোন রাস্তা দিয়ে যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা নিয়ে অবশ্য পুলিশের তরফে এখনই কিছু জানানো হয়নি।
কেএমডিএ সূত্রের খবর, মাঝেরহাট সেতু ভেঙে যাওয়ার পরেই শহরের সব উড়ালপুলের হাল জানতে কেএমডিএ কর্তৃপক্ষকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেয় সরকার। সেই নির্দেশ মোতাবেক শহরের প্রতিটি সেতুরই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যেই উল্টোডাঙা উড়ালপুলে ফাটল দেখা দেওয়ায় নজরদারি ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা দ্রুত করার জন্য জোর দেয় কেএমডিএ। কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেন, প্রতিটি সেতুর ভার বহন করার ক্ষমতা পরীক্ষা করা হবে। সব ক’টি উড়ালপুল পরিদর্শন করার পরেই কালীঘাট এবং বাঘা যতীন উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। শীঘ্রই যে সমস্ত উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে, তার মধ্যে শিয়ালদহ-সহ অরবিন্দ ও বিজন সেতু উল্লেখযোগ্য। প্রাথমিক ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ১৫ অগস্ট থেকে ১৮ অগস্ট শিয়ালদহ উড়ালপুল বন্ধ রাখা হবে।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শহরে যানজটের জন্য শিয়ালদহ উড়ালপুল আংশিক বন্ধ রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আর্জি জানানো হলেও তা সম্ভব নয়। ওই উড়ালপুলের ভার বহন করার ক্ষমতা পরীক্ষা করা ছাড়াও ট্রাম লাইন সরানোরও পরিকল্পনা রয়েছে। তা ছাড়াও কয়েকটি জায়গায় ত্রুটি রয়েছে, যা সারানো হবে। বিজন সেতু এবং অরবিন্দ সেতুর ক্ষেত্রেও দু’দিক বন্ধ করেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। ফলে, ওই সময়ে ওই উড়ালপুলে যানবাহন চলাচল পুরো বন্ধ রাখতে হবে। শিয়ালদহের ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৭২ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন হলেও এই দু’টি উড়ালপুলের ক্ষেত্রে কম সময় লাগতে পারে। কেএমডিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, সব ক’টি উড়ালপুলের ক্ষেত্রেই ছুটির দিন দেখেই স্বাস্থ্য পরীক্ষার কর্মসূচি ঠিক করার জন্য পুলিশ জানিয়েছে।