—প্রতীকী চিত্র।
নিউ টাউনের পেঁচার মোড়ে পথ দুর্ঘটনায় এক বাইকচালক-সহ দু’জন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে বাইকচালকের অবস্থা সঙ্কটজনক। রবিবার ভোরের ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, আহত চালকের নাম চিত্তরঞ্জন মণ্ডল (৪৫)। তাঁর বাড়ি হাড়োয়ায়। গাড়ির চালককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, এ দিন ভোর ৫টা ২০ মিনিট নাগাদ পেঁচারমোড়ে চিনার পার্কমুখী লেনে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে ছিল একটি গাড়ি, একটি পণ্য বোঝাই গাড়ি এবং একটি আনাজ ভর্তি ভ্যান। তাদের পিছনে এসে দাঁড়ায় একটি মোটরবাইক। আচমকা একটি গাড়ি তীব্র বেগে রাস্তার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে এসে বাইকটিরপিছনে ধাক্কা মারে। ধাক্কার অভিঘাতে বাইকচালক আনাজ বোঝাই ভ্যান টপকে সামনে দাঁড়ানো গাড়িটির গায়ে ধাক্কা খেয়ে পড়ে যান। ধাক্কায় ছিটকে পড়েন ওই ভ্যানের চালকও। পর পর ধাক্কা লাগে আরওতিনটি গাড়িতে। ঘটনায় আরও কয়েক জনের অল্পবিস্তর আঘাত লাগে বলে স্থানীয় সূত্রের দাবি। দুর্ঘটনার সময়ে সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা পণ্যবোঝাই গাড়িটির চালক জানান, আচমকাই গাড়িটি এসে বাইকে ধাক্কা মারে। তারপরে সেটি তাঁর গাড়িতে ধাক্কা মারলে তিনি নিজেও সামান্য আহত হন। ঘটনা দেখে ছুটে আসেন পথচলতিলোকজন। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, ইমারতি দ্রব্যের ব্যবসায়ী চিত্তরঞ্জন এ দিনকাজের সূত্রে ডানলপ যাচ্ছিলেন। ঘটনার সময়ে তাঁর মাথায় হেলমেট ছিল। তাঁকে প্রথমে চিনার পার্ক সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে ও পরে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর শরীরেরএকাধিক জায়গায় আঘাত লেগেছে। রাতের দিকে চিত্তরঞ্জনকে আর জি কর থেকে বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায় রিবার। তিনি ছাড়া ওই ভ্যানচালকের হাতে-পায়ে আঘাত লেগেছে।তাঁকে বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার পরে গাড়িটির চালককে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রের দাবি, কমবয়সি এক যুবক গাড়ি চালাচ্ছিলেন। স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, আর একটিগাড়ির সঙ্গে রেষারেষির জেরে এই দুর্ঘটনা। অভিযোগ, গাড়ির গতি বেশি থাকায় সিগন্যালের কাছে এসে গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে চালক বাইক ও গাড়িতে ধাক্কা মারেন। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক ভাবে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে রেষারেষির পর্যাপ্ত প্রমাণ মেলেনি। পুলিশেরকাছে ওই গাড়িচালকের দাবি, গাড়ির ব্রেক কাজ করেনি। সেই দাবি যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চিত্তরঞ্জনের পরিবারের তরফে এ দিন রাতেইপুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তবে বেপরোয়া গাড়ি বা বাইকচালকদের একাংশ ট্র্যাফিক আইনকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না বলেই অভিযোগ করছেন স্থানীয়দের একাংশ। যদিও পুলিশ সূত্রের খবর, নিয়মিত গাড়ি পরীক্ষা, বিধি ভাঙলে আইনানুগ পদক্ষেপ করার কাজ চলছে।