ঝুমা ঘোষ এবং অদিতি ভট্টাচার্য। — নিজস্ব চিত্র।
স্বাস্থ্যক্ষেত্রে কিছু করার ইচ্ছে তাঁদের অনেক দিনের। অবশেষে সেটা সত্যিই করে ফেললেন দুই গৃহিণী, ঝুমা ঘোষ এবং অদিতি ভট্টাচার্য। কলকাতার কসবার আরকে চ্যাটার্জি রোডে দু’জনে খুলে ফেললেন অত্যাধুনিক পলিক্লিনিক এবং ডায়গনস্টিক সেন্টার। যেখানে বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে প্রবীণ নাগরিকদের শারীরিক পরীক্ষা এবং সেবার উপরে। সম্প্রতি সূচনা হল ‘হেলথোরা পলিক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার’-এর। দুই উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠাতার কথায়, ‘‘বিশেষত বয়স্কদের কথা ভেবেই আমারা নতুন যাত্রা শুরু করলাম।’’
বার্ধক্যজনিত যে সব অসুখ-বিসুখ বেশি দেখা যায়, সেগুলো মোকাবিলায় জোর দিয়েছেন ঝুমা এবং অদিতি। তাঁদের পলিক্লিনিক এবং ডায়গনস্টিক সেন্টারে রয়েছে স্বাস্থ্যপরীক্ষার বিভিন্ন উন্নত যন্ত্র। দুই প্রতিষ্ঠাতা জানান, শারীরিক পরীক্ষানিরীক্ষা থেকে স্ক্রিনিং, রিপোর্ট খতিয়ে দেখে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এবং মতামত, সবই মিলবে একই ছাদের তলায়। যা প্রবীণদের কথা ভেবেই করা। যাতে তাঁদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য একাধিক জায়গায় ছুটতে না হয়। আর এই কেন্দ্রে উন্নত এবং ঠিকঠাক স্বাস্থ্যপরীক্ষার গ্যারান্টি তাঁরা দিচ্ছেন বলে জানান ঝুমা এবং অদিতি।
শহরে তো বহু পলিক্লিনিক এবং ডায়গনস্টিক সেন্টার আছে। তাঁদের পলিক্লিনিক এবং ডায়গনস্টিক সেন্টারের বিশেষত্ব কী? কেন তাঁদের প্রতিষ্ঠান আলাদা? ঝুমা এবং অদিতির জবাব, ‘‘দ্রুততার সঙ্গে ঠিকঠাক পরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার ব্যাপারে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’’ তাঁরা আরও বলেন, ‘‘ঠিকঠাক রিপোর্ট দেওয়া, সমস্ত আধুনিক যন্ত্রপাতির সুব্যবস্থা এবং সেন্টারের পরিবেশ আরামদায়ক করার ব্যাপারে আমরা বিশেষ নজর দিয়েছি। তাই, যে কোনও শারীরিক পরীক্ষার জন্য ৩/১২এ, আরকে চ্যাটার্জি রোডের ঠিকানায় চলে আসুন।’’