দুই ফরাসি অতিথির স্বাস্থ্যে নজর

ফ্রান্স থেকে আসা দুই নতুন অতিথির এক জন পুরুষ, অন্য জন মহিলা। বয়স প্রায় সাত বছর। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, প্রথমে ফ্রান্স থেকে সড়কপথে আমস্টারডাম। সেখান থেকে পণ্য বিমানের পেটে চেপে দোহা ঘুরে উড়ানে কলকাতা।

Advertisement

সুনন্দ ঘোষ

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০২:৫৭
Share:

ফ্রান্স থেকে আসা দুই অতিথির একটি। নিজস্ব চিত্র

কোনও রোগ আছে কি না, তা দেখতে আপাতত ৩০ দিন কলকাতা বিমানবন্দরে কার্যত বন্দি থাকবে দু’জন। সবার থেকে আলাদা। এই ৩০ দিন ধরে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে তাদের উপরে। দেখা হবে, কতটা সুস্থ ও তরতাজা রয়েছে দু’জনে।

Advertisement

ফ্রান্স থেকে আসা দুই নতুন অতিথির এক জন পুরুষ, অন্য জন মহিলা। বয়স প্রায় সাত বছর। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, প্রথমে ফ্রান্স থেকে সড়কপথে আমস্টারডাম। সেখান থেকে পণ্য বিমানের পেটে চেপে দোহা ঘুরে উড়ানে কলকাতা। এ শহরে বিদেশি দুই ঘোড়া পৌঁছেছে গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু, এলেই তো হল না। বিদেশ থেকে আসা এই ঘোড়া দু’টির যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে কলকাতা বিমানবন্দরের ‘কোয়ারেনটাইন’ বিভাগে। পরীক্ষায় উতরোলে তবে শহরে ঢুকবে তারা।

বিমানবন্দরের এক কর্তা জানিয়েছেন, ফ্রান্স থেকে রওনা হওয়ার আগে এক দফা পরীক্ষা হয়েছে ওদের। সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ায় পাসপোর্ট পেয়েছিল ওরা। কিন্তু, এ দেশেরও তো কিছু নিয়ম-কানুন রয়েছে। সেই নিয়ম মেনেই আপাতত কলকাতা বিমানবন্দর তাদের ঠিকানা।

Advertisement

কিন্তু, ফ্রান্সের ঘোড়া কী করছে এ শহরে!

খোঁজ নিয়ে জানা গিয়েছে ‘শো জাম্পিং’-এর কথা। এটি এমন একটি প্রতিযোগিতা, যেখানে প্রশিক্ষিত ঘোড়ারা লাফিয়ে, বিভিন্ন কসরত দেখায়। এ শহরেই থাকেন, এমন ১০-১২ জন মানুষ নিজেদের ঘোড়া নিয়ে এই খেলায় অংশ নেন। নির্দিষ্ট সময় অন্তর তাঁরাই বিদেশ থেকে ঘোড়া কিনে আনেন। কারণ ইউরোপীয় ঘোড়ারা এই ধরনের কসরতে পারদর্শী। এই প্রতিযোগিতা কলকাতা থেকে শুরু করে দেশের বিভিন্ন শহরে হয়। কোনওটি রাজ্য স্তরের। কোনওটি জাতীয় স্তরের।

জানা গিয়েছে, কলকাতা বিমানবন্দরে যে দু’টি ঘোড়া রাখা আছে, সেগুলি নিয়ে এসেছেন বালিগঞ্জের বাসিন্দা আশিস টিব্রেওয়াল নামের এক ব্যক্তি। আশিসের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘোড়ার যা দাম, তার থেকে উড়িয়ে নিয়ে আসার খরচ বেশি। সব মিলিয়ে এক একটি ঘোড়ার জন্য ৩-৪ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। প্রায় এক যুগ আগেও তিনি ফ্রান্স থেকে একই কারণে দু’টি ঘোড়া এনেছিলেন। এক একটি ঘোড়া বাঁচে ২২-২৪ বছর পর্যন্ত। আর ১৭-১৮ বছর বয়স পর্যন্ত ‘শো জাম্পিং’-এ অংশ নিতে পারে। আশিসের আগের দু’টি ঘোড়া বুড়ো হয়ে যাওয়ায় ফার্মে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আশিসের কথায়, ‘‘বুড়ো ঘোড়া কোনও কাজে আসে না। ওরা যত দিন বাঁচবে, তত দিন ফার্মে ঘুরে ঘুরে ঘাস খাবে।’’

নতুন দুই অতিথি বিমানবন্দরের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে রয়্যাল ক্যালকাটা টার্ফ ক্লাব (আরসিটিসি)-এর রাইডিং স্কুলে থাকবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement