প্রতীকী চিত্র।
পাড়ার ক্রিকেট প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আতসবাজি পোড়ানো হয়েছিল মঙ্গলবার। বুধবার সকালে সেই পোড়া বাজির স্তূপে খেলতে গিয়ে বিস্ফোরণে আহত হল দুই শিশু। তাদের মধ্যে এক জনের অবস্থা সঙ্কটজনক। আমির আলি নামে ওই শিশুটি এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ দিকে, ঘিঞ্জি এলাকায় আতসবাজি পোড়ানোর অনুমতি পুলিশ কী ভাবে দিল, সে প্রশ্নও উঠেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নাদিয়াল থানা এলাকার খালধারি রোডে একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতা ছিল। সেই উপলক্ষে বিকেলে আতসবাজির একটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সূত্রের খবর, বুধবার বেলা ১১টা নাগাদ পোড়া আতসবাজিতেই ফের আগুন দিতে গিয়েছিল আমির আলি ও শাহনওয়াজ শেখ-সহ স্থানীয় কয়েকটি শিশু। তখনই প্রবল বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে দেখেন, দু’টি শিশু রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে কাতরাচ্ছে। তাদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে শাহনওয়াজকে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমিরের পেটে গভীর ক্ষত হয়েছে। এ দিন বিকেলের দিকে তার পেটে অস্ত্রোপচার হয়। হাসপাতাল সূত্রের খবর, তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, আদতে ডায়মন্ড হারবারের বাসিন্দা আমির আলির বাবা মারা গিয়েছেন আগেই। শিশুটি নাদিয়ালের খালধারি রোডে দিদিমার বাড়িতে থাকত। এ দিন ওই ঘটনার পরে এলাকাবাসীর প্রশ্ন, খালধারি রোডের মতো ঘিঞ্জি এলাকায় পুলিশ কী ভাবে বাজি প্রদর্শনীর অনুমতি দিল? তাঁরা বলছেন, ‘‘প্রকাশ্যে এ ভাবে আতসবাজির প্রদর্শনী তো আইনবিরুদ্ধ। পুলিশ বাজি পোড়ানো আটকালে এই অঘটন এড়ানো যেত।’’ যদিও এ বিষয়ে নাদিয়াল থানার পুলিশ দাবি করেছে, তারা মঙ্গলবার আতসবাজি পোড়ানোর অনুমতি দেয়নি। প্রশ্ন উঠেছে, অনুমতি না দিয়ে থাকলে পুলিশ ব্যবস্থা নিল না কেন? এ বিষয়ে জানতে চেয়ে ডিসি (বন্দর) ওয়াসিম রেজাকে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। জবাব দেননি টেক্সট মেসেজের।