প্রতীকী ছবি।
রাতের নিউ টাউনে ফের মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল এক যুবকের। পুলিশের দাবি, বেপরোয়া গতিতে বাইক চালাতে গিয়েই ওই দুর্ঘটনা ঘটে। চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় এক মহিলা-সহ তিন জন জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। প্রসঙ্গত, দিনকয়েক আগেই রাতের নিউ টাউনে বিশ্ববাংলা গেটের কাছে বেপরোয়া ভাবে বাইক চালাতে গিয়ে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে মৃত্যু হয়েছিল এক যুবকের।
বিধাননগর কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে নিউ টাউনে দু’টি বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত বাইকচালকের নাম ড্যানিয়েল রাই (২৮)। তিনি উত্তরবঙ্গের জয়গাঁওয়ের বাসিন্দা। থাকতেন নিউ টাউনের একটি আবাসনে। একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিলেন তিনি। সংঘর্ষের জেরে দু’টি বাইকের চার আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়ে জখম হন। তাঁদের মধ্যে এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের দাবি, মাত্রাতিরিক্ত গতিতে দু’টি বাইক একে অপরের দিকে আসছিল। যার জেরে ওই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত ড্যানিয়েল একটি বাইক চালাচ্ছিলেন। ওই বাইকের আরোহীরা মত্ত অবস্থায় ছিলেন কি না, সেই সম্পর্কে আহতদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় পুলিশ। ড্যানিয়েলের পরিবারকে তাঁর দুর্ঘটনার খবর জানানো হয়েছে।
রবিবার দুপুরে ড্যানিয়েলের এক পরিচিত তরুণী জানান, কিছু জিনিস কেনার জন্য ওই রাতে মোটরবাইকে বেরিয়েছিলেন ড্যানিয়েল এবং তাঁর এক পরিচিত। ফেরার পথে ঘটে ওই দুর্ঘটনা। ওই তরুণীর কথায়, ‘‘আমি ড্যানিয়েলকে ফোন করেছিলাম। তখন পুলিশ ফোন ধরে দুর্ঘটনার কথা জানায়। আমাদের আর এক বন্ধুকে নিয়ে খুব উদ্বেগে রয়েছি। উনি ড্যানিয়েলের বাইকের পিছনে বসেছিলেন।’’
শনিবার রাতের দুর্ঘটনা নিয়ে তদন্তকারীরা নিজেরাও অবাক। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিউ টাউনের চওড়া রাস্তায় দু’টি বাইক কী ভাবে একে অপরের মুখোমুখি চলে এল, সেটা তাঁরাও বুঝে উঠতে পারছেন না। তাই তাঁদের অনুমান, দু’টি বাইকের মধ্যে কোনও এক জন চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন এবং বাইক চলছিল বেপরোয়া গতিতে।
দিনকয়েক আগেই বিশ্ববাংলা গেটের কাছে রাতে বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল এক চালকের। তাই রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা কমে এলে রাতের দিকে বাইক বা গাড়িচালকেরা বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠছেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, তখন রাস্তায় ট্র্যাফিক আইন ভাঙলেও ধরা পড়ার ভয় থাকে না। কমিশনারেটের আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, একের পর এক এমন দুর্ঘটনায় তাঁরাও উদ্বিগ্ন।
বিধাননগর পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, ‘‘পথ-নিরাপত্তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হয়। তা সত্ত্বেও অনেক চালকই বিধি মানতে চান না। পুলিশ জরিমানা করে। মানুষকে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে সবার আগে সচেতন হতে হবে।’’