প্রতীকী ছবি।
বিয়েতে নিমন্ত্রিত ছিল সে। তাই তাকে কেউ সন্দেহ করেননি। কলকাতা থেকে বিয়েবাড়ির ছবি তুলতে গিয়েছিলেন চিত্রগ্রাহক। অনুষ্ঠান শেষে দেখা গেল চিত্রগ্রাহকের ক্যামেরা, লেন্স-সহ পুরো ব্যাগটিই উধাও। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ দেখে সেই চুরির ক্যামেরা অনলাইনে বিক্রির জন্য বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। এর পরেই ক্যামেরা চুরির অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত সেই অতিথিকে।
সোনারপুরের একটি বিয়েবাড়িতে ওই ঘটনা ঘটে। সোনারপুর থানার পুলিশ জানায়, চুরির ঘটনায় দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নাম অর্ণব ভৌমিক ও আবদুল রফিক। তার মধ্যে অর্ণব ওই বিয়েবাড়িতে অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রিত ছিল। সে-ই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত।
পুলিশ জানায়, গত মঙ্গলবারের ঘটনা। ওই বিয়েবাড়িতে সহযোগীদের নিয়ে ফটোগ্রাফির কাজ করতে গিয়েছিলেন কলকাতার বেলেঘাটার বাসিন্দা সৌরিশ বসু। ছবি তোলার কাজ শেষ হওয়ার পরে সৌরিশবাবুরা বিয়েবাড়িটির হলে ক্যামেরা ও তার আনুষঙ্গিক জিনিষপত্র গুছিয়ে রেখে সকলে মিলে রাতের খাবার খেতে যান। অভিযোগ, ওই সুযোগে অভিযুক্ত দু’টি ক্যামেরার ব্যাগ চুরি করে নিয়ে পালিয়ে যায়। সারা রাত বিয়েবাড়ির চার দিকে খোঁজ করেও মেলেনি ক্যামেরা ও লেন্স। ক্যামেরা ও লেন্স মিলিয়ে প্রায় আড়াই লক্ষ টাকার জিনিসপত্র খোয়া যায় বলে সোনারপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সৌরিশবাবু।
এর পরে সোনারপুর থানা তদন্ত শুরু করে। বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালানোর পাশাপাশি অনলাইনে পুরনো জিনিসপত্র বেচাকেনার সংস্থার বিজ্ঞাপনের উপরেও নজর রাখে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, কয়েক দিন আগে অনলাইনে পুরনো ক্যামেরা বিক্রির একটি বিজ্ঞাপন নজরে পড়ে তাঁদের। ওই বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে শনিবার গড়িয়ার শহিদ ক্ষুদিরাম মেট্রো স্টেশনের কাছে গিয়ে বিজ্ঞাপনদাতা আবদুল রফিক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই খোঁজ মেলে গড়িয়ার কন্দর্পপুরের বাসিন্দা অর্ণব ভৌমিকের। উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া ক্যামেরা ও লেন্স।
পুলিশের দাবি, অর্ণবের বিরুদ্ধে আগেও বিয়েবাড়ি থেকে দামি সামগ্রী চুরির অভিযোগ রয়েছে। ধৃতদের জেরা করে তারা আর কোথায় কোথায় চুরি করেছে তা-র হদিস করার চেষ্টা হচ্ছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।