প্রতীকী ছবি।
গাড়িতে লেখা ‘বিচারক’। তাতে কী। গাড়ির ভিতরে কারা বসে রয়েছেন তা জানার প্রয়োজনও বোধ করেননি পাশে এসে দাঁড়ানো স্কুটারের দুই সওয়ারি। উল্টে কেন তাঁদের যাওয়ার জায়গা দেওয়া হচ্ছে না, তা জানতে চেয়ে গাড়িচালকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন স্কুটারের আরোহীরা। অভিযোগ, চালক গাড়ি সরিয়ে নিলেও স্কুটারের আরোহীরা ফের গাড়ির রাস্তা আটকান। তার পরে তাঁরা চালককে গাড়ি থেকে নামিয়ে গালি-গালাজ ও মারধর করে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তাঁদের গ্রেফতার করে। ধৃতেরা সম্পর্কে বাবা ও ছেলে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল সওয়া দশটা নাগাদ গৌরীবাড়ি সেতুর কাছে ওই গাড়িটি চেপে শিয়ালদহ আদালতে যাচ্ছিলেন সেখানকার চার বিচারক। গাড়ি চালক বিমল মাইতির বয়ানের ভিত্তিতে সরকারি কর্মীকে মারধর, কাজে বাধা দেওয়া, ভয় দেখানোর অভিযোগ দায়ের করে স্থানীয় মানিকতলা থানার পুলিশ। এ দিন বিকেলে দুই অভিযুক্ত পার্থ দত্ত এবং ইন্দ্রজিৎ দত্ত-কে বিধাননগর স্টেশনের কাছ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পার্থবাবুর ছেলে ইন্দ্রজিৎ। তিনিই স্কুটার চালাচ্ছিলেন। ধৃতদের আজ, বুধবার আদালতে তোলা হবে। এক পুলিশকর্তা জানান, গাড়িটিতে ‘বিচারক’ শব্দটি লেখা ছিল। তা দেখেও অভিযুক্তেরা ওই গাড়ির চালককে হেনস্থা করেছেন।