প্রতীকী চিত্র।
পাওনা টাকা চাইতে গিয়ে খুনের হুমকি শুনতে হয়েছিল তাঁকে। শুধু তা-ই নয়, তাঁর মেয়েকে অপহরণ করা হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছিল। টাকা উদ্ধার করা তো দূর, উল্টে পরিবারকে বাঁচাতে দফায় দফায় তিন লক্ষ টাকা তুলে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। এর পরেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
ঘটনার তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয়েছে দু’জনকে। ধৃতদের নাম শ্যামল মণ্ডল ও গোরাচাঁদ দেয়াশি। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, হাওড়ার দুষ্কৃতীদের ‘লোক’ বলে দাবি করে ওই ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা পঙ্কজ দাস একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার এজেন্ট গোরাচাঁদ দেয়াশির মাধ্যমে কিছু টাকা ওই সংস্থায় গচ্ছিত রেখেছিলেন। ২০১৯ সালে সংস্থাটি বন্ধ হয়ে যায়। গত ডিসেম্বরে পঙ্কজবাবু ওই এজেন্টের কাছে তাঁর পাওনা টাকা চাইতে যান। অভিযোগ, গোরাচাঁদ তাঁকে টাকা ফেরত দিতে তখন অস্বীকার করলে দু’জনের মধ্যে সামান্য হাতাহাতিও হয়।
পঙ্কজবাবুর অভিযোগ, এর কিছু দিন পরে শ্যামল মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি নিজেকে হাওড়ার কুখ্যাত দুষ্কৃতীর লোক বলে পরিচয় দিয়ে ফোন করে তাঁকে জানান, গোরাচাঁদ তাঁর পরিচিত। তাঁকে ২০ হাজার টাকা দিলে সব গোলমাল মিটিয়ে দেবেন। পুলিশ সূত্রের খবর, এর পর থেকে ওই ব্যক্তি পঙ্কজকে খুনের এবং তাঁর মেয়েকে অপহরণ করার হুমকি দিয়ে প্রায় তিন লক্ষ টাকা আদায় করেন। এর পরেই আতঙ্কিত পঙ্কজ দাশনগর থানার পুলিশের দ্বারস্থ হন।
এর পরেই মঙ্গলবার রাতে মোবাইলের অবস্থান দেখে প্রথমে শ্যামলকে এবং পরে গোরাচাঁদকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতেরা টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন।