ফাইল চিত্র।
সরকারি হাসপাতালে টাকার বিনিময়ে চিকিৎসা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ নতুন নয়। শয্যা পাইয়ে দেওয়ার দালাল-চক্র যে সেখানে সক্রিয়, তা-ও অজানা নয়। এ বার দ্রুত সিটি স্ক্যান করিয়ে দেওয়ার নাম করে এসএসকেএম হাসপাতালে বেসরকারি রক্ষীদের একটি চক্র সক্রিয় হয়েছে বলে খবর। এসএসকেএমের ওই ঘটনায় ভবানীপুর থানা হাসপাতালেরই দু’জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ জানায়, ধৃতদের নাম আদিত্য হাজরা এবং নৌশাদ আলম। শুক্রবার ভবানীপুর থানার পুলিশ তাদের হাসপাতাল চত্বর থেকে গ্রেফতার করে। অভিযুক্তদের থেকে টাকাও উদ্ধার হয়েছে। ওই টাকা তারা অভিযোগকারী রোগীর কাছ থেকে নিয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, দু’মাস আগে ওই হাসপাতালেই শয্যা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে রোগীর পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে এক বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। পুলিশ এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দালালদের বিরুদ্ধে লাগাতার ব্যবস্থা নেওয়ার পরেও ফের একই অভিযোগে দু’জন বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী ধরা পড়ল।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বাসিন্দা আব্বাস আলি খান শুক্রবার পিজিতে গিয়েছিলেন। চিকিৎসক তাঁকে সিটি স্ক্যান করানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু রোগী খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সিটি স্ক্যান করাতে সময় লাগবে। পুলিশের কাছে অভিযোগকারীর দাবি, এর পরেই তাঁর কাছে আসে আদিত্য। সে জানায়, দ্রুত সিটি স্ক্যানের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। নৌশাদের সঙ্গেও আলাপ করিয়ে দেয় সে। অভিযোগ, নৌশাদ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে এর জন্য দু’হাজার টাকা নেয়। বিষয়টি হাসপাতাল এবং পুলিশের নজরে আনা হলে তদন্তে নেমে ওই দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসএসকেএমে চিকিৎসা করাতে আসা প্রদীপ পাল নামে এক রোগীর কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত বৃহস্পতিবারও আশিস চট্টোপাধ্যায় নামে এক দালালকে গ্রেফতার করেছিল ভবানীপুর থানা। ওই অভিযোগকারীকে এসএসকেএমের পরিবর্তে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেবে বলে টাকা নিয়েছিল আশিস। বর্তমানে আদালতের নির্দেশে সে পুলিশি হেফাজতে রয়েছে। এ দিকে, পর পর দু’দিনে তিন জনের গ্রেফতারির ঘটনার মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।