গাড়ির উপরে ভেঙে পড়ল গাছ 

বজ্র-বিদ্যুৎসহ মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আনোয়ার শাহ রোডে পুরসভার দশ নম্বর বরো অফিসের আশপাশের বাসিন্দারা হঠাৎ শুনতে পেলেন বিকট শব্দ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০০:১২
Share:

হুড়মুড়িয়ে: তুবড়ে গিয়েছে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়ি। মঙ্গলবার, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোডে। ছবি: সুদীপ ঘোষ

বজ্র-বিদ্যুৎসহ মুষলধারায় বৃষ্টি হচ্ছিল। আনোয়ার শাহ রোডে পুরসভার দশ নম্বর বরো অফিসের আশপাশের বাসিন্দারা হঠাৎ শুনতে পেলেন বিকট শব্দ। তাঁরা দেখলেন, একটি বিশাল অশ্বত্থ গাছ গুঁড়িসুদ্ধ রাস্তার উপরে ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার বিকেলের ওই ঘটনায় কেউ হতাহত না হলেও অল্পের জন্য বেঁচে গিয়েছেন তিন জন। ডালপালাসুদ্ধ গাছটি আড়াআড়ি ভাবে রাস্তার উপরে পড়ায় যান চলাচল সাময়িক ভাবে বন্ধ হয়ে যায়। দেখা দেয় যানজট। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা বেজে যায়।

Advertisement

এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, একটি গাড়ি ও লরির উপরে গাছটি পড়ে ওই গাড়ি দু’টি পুরোপুরি দুমড়ে গিয়েছে। অশ্বত্থ গাছের গুঁড়ির অংশটি সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো ছিল। সেই চাতাল সুদ্ধই গাছটি উপড়ে আসে। ওই গাড়ির ভিতরে সে সময়ে ছিলেন চালক মন্টু হালদার। তিনি কোনও রকমে বেঁচে যান। পিছনে থাকা আর একটি গাড়ির চালক গোবিন্দ মণ্ডল বলেন, ‘‘আমরা ঘরের ভিতরে তাস খেলছিলাম। হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দে কিছু পড়ার আওয়াজ শুনে তড়িঘড়ি বেরিয়ে দেখি, গাছটির একটি অংশ ওই গাড়ির উপরে গিয়ে পড়েছে। বাঁচাও, বাঁচাও বলে চিৎকার করছেন চালক।’’ গাড়ির সামনের দরজা খুলে মন্টুকে কোনও ভাবে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। গোবিন্দবাবু বলেন, ‘‘আমি গাড়ির পিছনের সিটে থাকলে যে কী হত, ভেবেই ভয় লাগছে।’’ গাড়িটির পিছনে ছিল একটি মোটরবাইক। সেটির চালক জানান, তিনি কোনও রকমে বাইক ফেলে পালিয়ে বাঁচেন।

ঘটনার পর পরই পুরসভার কর্মীরা, দমকল ও পুলিশ উদ্ধারকাজে হাত লাগায়। দশ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তপন দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘সবাই একযোগে কাজ করায় দ্রুত গাছটি সরানো সম্ভব হয়েছে। পরিস্থিতিও দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement