Transgenders

বড়দিনের কেকে বার্তা সমতার

গোলাপি মেয়েদের আর নীল ছেলেদের রং বলে ধরা হলেও ছক ভাঙা লিঙ্গ-পরিচয়কে তুলে ধরতে এই দু’টি রং ব্যবহার করছেন রূপান্তরকামীরা। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২০ ০২:০৩
Share:

ফাইল চিত্র

সব কেক নয় সমান! বড়দিনের কেকেও রয়েছে ঢের ফারাক। সে কথা মাথায় রেখে কেকের মাধ্যমেই ক্ষমতায়নের ডাক দিচ্ছেন শহরের তৃতীয় লিঙ্গভুক্ত রূপান্তরকামী নারী-পুরুষদের একাংশ।

Advertisement

২০১৪ সালের নালসা রায়ে তৃতীয় লিঙ্গভুক্তদের সমান অধিকারের কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু এখনও কর্মসংস্থানে পিছিয়ে তাঁরা। নিজেদের সাম্য ও অধিকারের লড়াই তুলে ধরতে ‘পিঙ্ক অ্যান্ড ব্লু কেক’-কে সামনে নিয়ে এসেছে রূপান্তরকামীদের একটি মঞ্চ।

গোলাপি ও নীল রঙে মিশে প্রতীকী ব্যঞ্জনা। গোলাপি মেয়েদের আর নীল ছেলেদের রং বলে ধরা হলেও ছক ভাঙা লিঙ্গ-পরিচয়কে তুলে ধরতে এই দু’টি রং ব্যবহার করছেন রূপান্তরকামীরা।

Advertisement

আরও পড়ুন: এগ্রি গোল্ড দুর্নীতিতে ৪ হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ইডি-র

আরও পড়ুন: তিন মেদিনীপুরের ৩৫ টি আসনই দখল করবেন, দাবি শুভেন্দুর

এত দিন পিছিয়ে থাকা শ্রেণির বা দুঃস্থ তরুণ-তরুণীদের তৈরি কেকই ব্র্যান্ড হয়ে উঠেছিল শহরে। ফরাসি মাদলিন থেকে ইউরোপীয় ডেজ়ার্ট তৈরিতে দক্ষতা দেখিয়েছে শুকতারা কেক। তাদের সৃষ্টিতে মিশে পরিবারহীন বা দুঃস্থ ছেলেমেয়েদের হাতযশ। পাভলভ মানসিক হাসপাতালের আবাসিকেরাও কয়েক বছর হল কেক তৈরিতে দক্ষতা দেখাচ্ছেন।

এই উদ্যোগের শরিক রঞ্জিতা সিংহের বক্তব্য, ‘‘আমরা পেশাদার বেকারদের কাছে তালিম নিয়েছি। কেক তৈরির সরঞ্জাম ও পরিকাঠামোর ব্যাপারে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গিয়েছে। কেক তৈরির দক্ষতা রূপান্তরকামীদের জীবনে সুদিন আনতেই পারে।’’

এখনও পর্যন্ত দিনে ৫০টির বেশি কেক তৈরির পরিকাঠামো নেই ‘পিঙ্ক অ্যান্ড ব্লু কেক’-এর রূপকারদের। তবে অনেকেই আগ্রহী হচ্ছেন। রঞ্জিতার কথায়, ‘‘সাম্য ও সমানাধিকারের বার্তাও মেলে ধরবে এই কেক।’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement