প্রতীকী ছবি।
শোয়ার ঘরে মাথায় গুরুতর আঘাত নিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন যুবক। তাঁর বাবাকে ফোনে এমনই জানিয়েছিল ওই যুবকের সঙ্গী। শেষে মৃত যুবকের বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে রূপান্তরকামী ওই সঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে ডোমজুড় থানার বাঁকড়া এলাকায়। পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম সুনীল বাকুলি (৩৩)। আদতে উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দা হলেও কাজের সূত্রে তিনি বাঁকড়ায় থাকতেন। সেখানেই বছর দুয়েক আগে ওই যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় বাবলি পাসোয়ানের। সুনীলের ওই সঙ্গী বাঁকড়ার বৃহন্নলা সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত।
পুলিশ সূত্রের খবর, পরিচয়ের পর থেকে বাবলির সঙ্গে থাকতেন টোটোচালক সুনীল। যুবকের বাবা সুকুমার বাকুলি পুলিশকে জানিয়েছেন, ঘটনার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ তিনি ফোনে বাবলির থেকে জানতে পারেন, ছেলে রক্তাক্ত এবং মৃত অবস্থায় পড়ে আছে। বাবলিই তাঁর ছেলে সুনীলকে খুন করেছে বলে পুলিশে অভিযোগ করেন সুকুমারবাবু। এর পরেই পুলিশ বাবলিকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন বাবলি। তাঁর দাবি, দু’বছর ধরে পরিচয় তাঁদের। কিন্তু তার পর থেকে সুনীল আর সে ভাবে কাজ করতেন না। বরং বাবলির রোজগারের টাকা জোর করে নিয়ে নিতেন। সেই টাকায় বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড় করতেন। তাতে আপত্তি জানালে লোক আনিয়ে তাঁর উপরে সুনীল হামলা চালাত বলেও বাবলি তদন্তকারীদের কাছে দাবি করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে এই টাকাপয়সা নিয়ে নেওয়া সংক্রান্ত বিষয়ে দু’জনের মধ্যে অশান্তি চলছিল।
পুলিশের দাবি, দীর্ঘদিনের রাগ থেকেই তিনি সুনীলকে খুনের পরিকল্পনা করেন বলে বাবলি দাবি করেছেন। সেই মতো ওই সন্ধ্যায় প্রথমে খাবারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে অচৈতন্য করা হয় যুবককে। তার পরে ভারী বস্তু দিয়ে থেঁতলে খুন করেন সুনীলকে। দেহটি লোপাটের পরিকল্পনা থাকলেও তা না করে খুনের কথা প্রতিবেশীদের জানিয়ে দেন বাবলি। তবে বাবলির কথার সত্যতা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় আরও কেউ জড়িত ছিল কি না, তাও দেখা হচ্ছে।