—প্রতীকী চিত্র।
তাঁরা রূপান্তরিত নারী। তবু ‘ল্যাবরেটরি-জাত’ বলে কটাক্ষ শুনতে হয় প্রায়ই। ‘আপনারা কি রজঃস্বলা হন?’ বা ‘আপনারা সন্তান ধারণে সক্ষম?’— এমন প্রশ্ন হামেশাই শুনতে হয় তাঁদের। এড়িয়ে না গিয়ে এ বার একটি আলোচনাসভায় এমন প্রশ্নের জুতসই জবাব দিতে চান রূপান্তরিত নারীরা।
২২ জুন থেকে ২৫ জুন, অম্বুবাচীর দিনগুলিতে শহরের ওই আলোচনাসভায় নিজেদের গল্প বলবেন রাজ্য ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন মানবী বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ এক ঝাঁক রূপান্তরিত নারী। প্রতিদিন যে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় তাঁদের, তা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলবেন তাঁরা। সামাজিক কারণ ছাড়াও ওষুধের প্রভাবে অনেক সময়েই অবসাদগ্রস্ত হয়ে থাকেন রূপান্তরকামী নারীরা, সেই বিষয়েও কথা হবে। ‘‘এই কর্মসূচিকে আন্দোলনের রূপ দিতে চাই’’— বলছেন পেশায় ফ্যাশন ডিজাইনার স্বর্ণাঙ্গী গুপ্ত নামের এক রূপান্তরিত নারী।
তাই আলোচনার জন্য অম্বুবাচীর সময়কে বেছেছেন আয়োজকেরা। মানবীর কথায়, ‘‘বলা হয়, অম্বুবাচীতে রজঃস্বলা হন মা কামাখ্যা। কেরলের শবরীমালা মন্দিরে রজঃস্বলা মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। এই বৈপরীত্য নারী জীবনের অঙ্গ। রূপান্তরিত নারীদের অবস্থা তো আরও খারাপ।’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।