শিয়ালদহ উড়ালপুলের উপর থেকে তুলে ফেলা হবে ট্রামলাইন। নিজস্ব চিত্র
শিয়ালদহ উড়ালপুলের ভার কমাতে তার উপর থেকে ট্রামলাইন সরানোর কাজ শুরু হতে পারে আগামী বছরের শুরুতেই। কেএমডিএ সূত্রের খবর, কবে থেকে সেই কাজ শুরু হবে, তা পুলিশের সঙ্গে আলোচনার পরেই ঠিক করা হবে।
গত অগস্টে শিয়ালদহ উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরেই বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছিলেন, সেটির অবস্থা ঠিক রাখতে তার উপর থেকে কয়েক ইঞ্চি পিচের আস্তরণ তুলে ফেলতে হবে। এমনকি, তুলে ফেলতে হবে ট্রাম চলাচলের লাইনও।
কেএমডিএ-র এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আগামী ৩০ নভেম্বর শিয়ালদহ উড়ালপুলে ট্রামলাইন সরানো নিয়ে একটি বৈঠক রয়েছে। সেখানেই এ নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। এর পরেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। সম্ভবত এইচআরবিসি ওই দরপত্র আহ্বান করে নতুন সংস্থা নিয়োগ করবে, যারা উড়ালপুল থেকে ট্রামলাইন সরানোর কাজ করবে।
সূত্রের খবর, শহরে যে কয়েকটি উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে, তার মধ্যে শিয়ালদহ উড়ালপুল অন্যতম। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মাঝেরহাট উড়ালপুল ভেঙে পড়ার অন্যতম কারণ হিসেবে তার উপরে থাকা ট্রামলাইনের অতিরিক্ত ভারকে চিহ্নিত করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তাই শিয়ালদহ উড়ালপুলের ক্ষেত্রে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে পিচের আস্তরণ-সহ লোহার ট্রামলাইন তুলে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, উড়ালপুল থেকে ট্রামলাইন সরানোর কাজ করা হবে মূলত রাতের দিকে। তাই সে ভাবে যানজটের আশঙ্কা থাকবে না। তবে প্রাথমিক ভাবে স্থির হয়েছে, উড়ালপুলটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময়ে যে ভাবে যান চলাচল করানো হয়েছিল, ওই সময়েও সে ভাবেই করানো হবে। তবে এই কাজের জন্য গোটা রাস্তা বন্ধ রাখা হবে না। রাস্তার যে অংশে কাজ হবে, শুধু সেটুকুই গার্ডরেল দিয়ে ঘিরে রাখা হবে। বাকি অংশ দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে সে সময়ে ভারী গাড়ি চলতে দেওয়া না-ও হতে পারে।
লালবাজারের সূত্রের খবর, ওই কাজের সময়ে শিয়ালদহ উড়ালপুলের নীচে থাকা দোকানগুলি নিয়ে কী করা হবে, তা নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে উড়ালপুলের বুক থেকে ট্রামলাইন এবং পিচের অতিরিক্ত আস্তরণ তুলে ফেলার
পরে ফের সেখানে কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে।