চলতি বছরে শহরে ট্রামের সার্ধশতবর্ষ পূর্তি হলেও ট্রামের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। ফাইল ছবি।
শহরে এখন ট্রাম ছোটে হাতে গোনা কিছু রুটে। সেখানেও চালকের আকাল। পরিস্থিতি সামাল দিতে গত বছর পয়েন্টসম্যানদের একাংশকে প্রশিক্ষণ দিয়ে চালক তৈরি করার পরিকল্পনা করেছিল ট্রাম কোম্পানি। টালিগঞ্জ ট্রাম ডিপো সংলগ্ন প্রশিক্ষণশালায় বাছাই ৩২ জনের তত্ত্বগত দিকের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণ করা হয়। মাস ছয়েক আগে ওই প্রশিক্ষণ শেষ হলেও হাতেকলমে ট্রাম চালানোর প্রশিক্ষণের পর্ব ছিল থমকে। গত বুধবার থেকে ফের ওই প্রশিক্ষণ শুরু হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে ৩-৪টি রুটে ট্রামের চালক সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
চলতি বছরে শহরে ট্রামের সার্ধশতবর্ষ পূর্তি হলেও ট্রামের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে। পরিবহণ দফতর সূত্রের খবর, শহরে ট্রামের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছিল চালকের সংখ্যাও। বর্তমানে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চালকের সংখ্যা কমে এসে ঠেকেছে ৪০-এর নীচে। কয়েক মাসে তা আরও কমে ২০ হতে পারে। ফলে প্রচলিত রুটে সীমিত সংখ্যায় ট্রাম চালানোর চালকও পাওয়া যাচ্ছে না। এখন গড়িয়াহাট-এসপ্লানেড এবং টালিগঞ্জ-বালিগঞ্জ রুটে দিনে ছ’টি করে মোট ১২টি ট্রাম এক ঘণ্টা অন্তর চলে। শ্যামবাজার-এসপ্লানেড রুটে ট্রাম অনিয়মিত। সরকারি তরফে খিদিরপুর রুট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। এই ক’টি রুটে ট্রামচালক পর্যাপ্ত না থাকায় সম্প্রতি চালকদের হাতেকলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া ফের শুরু হয়েছে। আপাতত ১৫ জন করে চালককে নিয়ে সকাল-বিকেল ৫ ঘণ্টা করে দুই অর্ধে প্রশিক্ষণ চলছে। তিন মাসের তত্ত্বগত প্রশিক্ষণের পরে ১৫ দিন হাতেকলমে শেখানো হবে ওই চালকদের। এর ফলে কিছু রুটে ফের ট্রামের চাকা গড়াতে পারে বলে আশাবাদী ট্রাম আধিকারিকদের একাংশ।