ফাইল চিত্র।
ব্যস্ত রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে যান নিয়ন্ত্রণ করছেন ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মী। লাল এবং নীল বাতি লাগানো গাড়ি সেই রাস্তা দিয়ে গেলেই তিনি সেই গাড়ির নম্বর লিখে রাখছেন। গত কয়েক দিন ধরে শহরের বিভিন্ন রাস্তায় ওই চিত্র দেখা যাচ্ছে। কারণ, শহরের পথে লাল বা নীল বাতি লাগানো যে সব গাড়ি চলছে, সেগুলির নম্বর লিখে রাখা হচ্ছে লালবাজারের নির্দেশেই। ট্র্যাফিক পুলিশের মতে, লাল এবং নীল বাতির অবৈধ ব্যবহার ঠেকাতে ওই পরিকল্পনা।
নম্বরের তালিকা সপ্তাহান্তে লালবাজার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে পাঠানো হচ্ছে। ২৫টি ট্র্যাফিক গার্ড, নিজের এলাকার জনবহুল জায়গা বেছে এক জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে ওই কাজের দায়িত্ব দিয়েছে। যা গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে। ফলে কোন গাড়ি ওই সব বাতি ব্যবহার করছে, তার তালিকা থাকছে পুলিশকর্তাদের কাছে।
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, গাড়িতে লাল বাতি ব্যবহারের অনুমতি রয়েছে ১১ জনের। আর নীল বাতি ব্যবহার করতে পারবেন ৩১ জন। কসবার ভুয়ো প্রতিষেধক শিবিরের খবর ফাঁস হতেই সামনে আসে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেবের নীল বাতির কাহিনি। এর পরেই নীল বাতির অবৈধ ব্যবহারের অভিযোগে শহরে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শহরের রাস্তায় সন্দেহজনক লাল বা নীল বাতির গাড়ি দেখলে তার চালক বা মালিককে তা খুলে ফেলতে বলার জন্য ট্র্যাফিক গার্ডগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। পাশাপাশি সেই গাড়ির নম্বরও লিখে রাখা হবে। এর পরেও যদি চালক বা মালিক পুলিশের নির্দেশ অমান্য করেন, তবে গাড়ির ছবি তুলে তার নম্বর ট্র্যাফিক কন্ট্রোল রুমে পাঠিয়ে দেওয়ার নির্দেশ জারি হয়েছে। যাতে কন্ট্রোল রুম ওই গাড়ির বিরুদ্ধে পরবর্তী পদক্ষেপ করতে পারে।
ট্র্যাফিকের এক আধিকারিক জানান, গাড়ি আটক করার পরে বাতি খোলার জন্য হইচই না করতে বাহিনীকে বলা হয়েছে। পুরো প্রক্রিয়াই অফিসারকে নিজের বডি ক্যামেরায় রেকর্ড করে রাখতে হবে।