সাঁতরাগাছি সেতুতে লরি ড্রাইভারের হাতে প্রহৃত ট্রাফিক ইন্সপেক্টর

সাঁতরাগাছি সেতু মেরামতির জন্য হাওড়া শহরে লরি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে পুলিশ। আর সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে এক লরি চালকের হাতে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জানুয়ারি ২০১৬ ২১:১৩
Share:

সাঁতরাগাছি সেতু মেরামতির জন্য হাওড়া শহরে লরি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ জারি করেছে পুলিশ। আর সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়ে এক লরি চালকের হাতে ট্রাফিক ইন্সপেক্টরের প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার গভীর রাতে বালির জিটি রোডে। পুলিশ ওই লরি চালককে গ্রেফতার করেছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, সেতু মেরামতির জন্য নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, জাতীয় সড়ক থেকে বালি খাল হয়ে জিটি রোড দিয়ে সমস্ত লরি শহরে ঢুকবে। আর শহর থেকে বেরোনো সমস্ত লরি সালকিয়া অরবিন্দ রোড, বেনারস রোড হয়ে জাতীয় সড়কে যাবে। ওই দিন রাত পৌনে ১২টা নাগাদ বেলুড় বাজারের দিক থেকে চারটি লরি বালিখালের দিকে যাওয়ার সময় বালি বাদামতলার কাছে যানজট লেগে যায়। খবর পেয়ে সেখানে যান আইসি বালি ট্রাফিক কল্যাণ চক্রবর্তী ও কনস্টেবল রবিউল খান। নির্দেশিকা না মানার জন্য লরিগুলির থেকে কাগজপত্র চান কল্যাণবাবু। তিনটি লরি কাজগ পত্র দিলে তা কেস করা হয়। অভিযোগ, চতুর্থ লরিটি কাগজপত্র না দিয়ে বেপরোয়া ভাবে লরিটি চালিয়ে দেয়। এ পরে সেটিকে বালি থানার সামনে আটক করা হয়। কেন কাগজপত্র না দেখিয়ে বেপরোয়া ভাবে লরি চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করলেন জানতে চাইতেই নিচে নামেন লরির চালক ওয়াজির খান।

পুলিশের অভিযোগ, লরি থেকে নেমেই ওই চালক পুলিশ কর্মীদের উদ্দেশ্যে গালিগালাজ শুরু করেন। এরপরে কল্যাণবাবুর জ্যাকেটের কলার ধরে বুকে ঘুষি মারেন। বাধা দিতে গেলে রবিউল খানকেও ঘুষি মারে ওই চালক। দেখতে অন্যান্য অফিসার ও পুলিশ কর্মীরা এসে ওয়াজিরকে ধরে ফেলেন। পরে বালি থানার পুলিশ এসে ওই চালককে গ্রেফতার করে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement