প্রতীকী ছবি।
লকডাউনের মধ্যেই রক্তদান শিবির! করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রতি সপ্তাহে দু’দিন করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার, সেই সার্বিক লকডাউনের প্রথম দিনেই কামারহাটিতে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করলেন শাসক দলের স্থানীয় কর্মী-সদস্যেরা।
কামারহাটি পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাসুদেবপুরে মধ্যপল্লিতে একটি ক্লাবের মাঠে এ দিন ওই রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। স্থানীয়েরা জানান, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তরফে অনেক দিন আগেই ওই এলাকাটি কন্টেনমেন্ট জ়োন বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। অথচ সেই জ়োনের মধ্যেই রীতিমতো প্যান্ডেল করে, মঞ্চ বেঁধে এ দিন আয়োজন করা হয় ওই রক্তদান শিবিরের। সেখানে আমন্ত্রিত ছিলেন তৃণমূলের সর্বস্তরের নেতারাই। এ দিন শাসক দলের বহু নেতা ওই শিবিরে শুধু হাজিরই ছিলেন না, মঞ্চে উঠে কার্যত ঘেঁষাঘেঁষি করে দাঁড়িয়ে তাঁরা বক্তব্যও রেখেছেন। স্থানীয় ক্লাবঘরের মধ্যে শয্যা পেতে চলেছে রক্তদান। কিন্তু সংক্রমণ রোধে যখন সরকার এ দিন লকডাউনের ঘোষণা করেছে, তখন সেই নিয়ম ভেঙে ওই রক্তদান শিবির করার যৌক্তিকতা কতটা, সেই প্রশ্ন উঠেছে।
এ দিন ওই রক্তদান শিবিরে হাজির ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, কামারহাটির পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গোপাল সাহা এবং সদস্য সমীরণ দাস, বিশ্বজিৎ সাহা, প্রাক্তন কাউন্সিলর দেবযানী মুখোপাধ্যায়-সহ আরও অনেকে। অভিযোগ উঠেছে, মঞ্চের পাশাপাশি গোটা অনুষ্ঠানস্থল জুড়েই দূরত্ব-বিধি সে ভাবে মানা হয়নি। এ দিন বৃষ্টি হওয়ায় অনেক জায়গায় জল জমে ছিল। ফলে স্বল্প পরিসরেই ভিড় জমান স্থানীয় লোকজন থেকে তৃণমূল কর্মী এবং সদস্যেরা।
সরকারের ডাকা সার্বিক লকডাউনের দিনেই খোদ শাসক দলই কী ভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করতে পারে, সেই প্রশ্ন তুলছেন বাসিন্দাদের একাংশ। তবে এ নিয়ে গোপালবাবু বলেন, ‘‘দূরত্ব-বিধি মেনেই সব কিছু করা হয়েছে। অনেক আগে থেকেই সব রকমের অনুমতি নিয়ে ওই শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যে যেহেতু রক্তের সঙ্কট চলছে, তাই এই শিবিরটি বাতিল করা হয়নি।’’