ফাইল ছবি।
থামার লক্ষণই নেই সুভাষ-ট্যাবলো বিতর্কের। এ বার তৃণমূলের মুখপত্রে তীব্র আক্রমণ শানানো হল মোদী সরকারের দিকে। দলীয় মুখপত্রের সম্পাদকীয় স্তম্ভে প্রশ্ন তোলা হল, নেতাজি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের বলেই কি তাঁর জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্বলিত বাংলার প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাতিল করল কেন্দ্রের মোদী সরকার? ২০২১-এর মতো বাঙালি এই বঞ্চনারও সমুচিত জবাব দেবে বলে সম্পাদকীয় স্তম্ভে লেখা হয়েছে।
প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও স্বাধীনতা সংগ্রাম সম্বলিত বাংলার প্রস্তাবিত ট্যাবলো বাতিল করার প্রতিবাদে ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়ে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ বার তাঁর দল তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে মোদী সরকার তথা বিজেপি-কে তীব্র আক্রমণ শানানো হল। প্রশ্ন তোলা হল, নেতাজি সুভাষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যের লোক বলেই কি তাঁর জীবনের উপর তৈরি করা পশ্চিমবঙ্গের প্রস্তাবিত ট্যাবলো প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাদ দেওয়া হল? পাশাপাশি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, নেতাজিকে এ ভাবে কোনও রাজ্য, দেশ, কালের মধ্যে আটকে রাখা যায় কি? সেখানে আরও অভিযোগ করা হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিজেরাই নেতাজি ট্যাবলো করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একে কেন্দ্রের ‘নয়া চক্রান্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছে তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়।
‘নির্লজ্জ বিজেপি’ শীর্ষক ওই সম্পাদকীয় স্তম্ভের শেষ অনুচ্ছেদে লেখা হয়েছে, ২০২১-এর ভোটে বাংলায় ‘ডেলি প্যাসেঞ্জারি’ করা প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রীকে বাঙালি যে ভাবে মুখের উপর জবাব দিয়েছে, এ বারও তেমনই সমুচিত জবাব পাবেন তাঁরা। কারণ এর সঙ্গে বাংলা, বাঙালির আত্মসম্মান, আত্মমর্যাদা, আত্ম অহং জড়িয়ে রয়েছে। একুশের নীলবাড়ির লড়াইয়ে তৃণমূলের কাছে হার, বিজেপি এখনও হজম করতে পারছে না বলেই এই সব ‘চক্রান্ত’ করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে এই প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা নিজের অসন্তোষ গোপন না করে স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, ‘‘আমরা কারও কাছে ভিক্ষে চাইতে যাচ্ছি না! কারও করুণাও চাইছি না। কিন্তু স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসকে যাঁরা অবজ্ঞা ও অবহেলা করে, জাতি তাঁদের কখনও ক্ষমা করবে না!’’
শুধু বাংলাই নয়, প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ট্যাবলো বাদ পড়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীও। তিনিও অসন্তোষ জানিয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে। এ বার বাংলার শাসক দলের মুখপত্রের সম্পাদকীয়তে তীব্র কটাক্ষ ধেয়ে গেল বিজেপি তথা মোদী সরকারের দিকে।