প্রথমে ‘হাই’। তার পরে হিন্দিতে ‘কোথায় আছ’ লেখা মেসেজ। যাঁরা তার উত্তর দিয়েছেন, পরক্ষণেই তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে মেসেজ করা হয়েছে! এমনকি, কোন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে তা পাঠাতে হবে, তা-ও বলা হয়েছে!
হাওড়া জেলার তৃণমূল মহিলা সংগঠনের সভাপতির ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে বৃহস্পতিবার সকালে এমন বার্তা পেয়ে চমকে উঠেছিলেন অনেকেই। সেই তালিকায় ওই নেত্রীর ছেলে, আত্মীয়স্বজন থেকে শুরু করে জেলা ও ব্লক স্তরের নেতারাও রয়েছেন। কেউ কেউ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিলেও অনেকে আবার সরাসরি ওই নেত্রীকে ফোন করে জানতে চান, কেন তিনি টাকা চেয়ে মেসেজ করেছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান তৃণমূলের মহিলা সংগঠনের সভাপতি রেখা রাউত। জানান, কারও কাছেই টাকা চেয়ে বার্তা পাঠাননি তিনি। শেষে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ও অরূপ রায়ের পরামর্শে লিলুয়া থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের সাইবার অপরাধ থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, ফেসবুকে রেখাদেবীর অ্যাকাউন্ট থাকলেও তিনি বিষয়টিতে সড়গড় নন। তাই প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড অন্য কেউ জেনে গিয়েছে বা সেটি কেউ ‘হ্যাক’ করেছে। এ দিন রেখাদেবীর মেসেঞ্জার থেকে যে সব মেসেজ গিয়েছে, সেগুলি গুরুগ্রাম ও ফরিদাবাদ থেকে পাঠানো হয়েছে। রেখাদেবী বলেন, ‘‘আমি তো নিজেও বুঝতে পারছিলাম না কী হচ্ছে। সকলেই ফোন করে জানতে চাইছিলেন। সাংসদের পিএ-র স্ত্রীর কাছেও ওই মেসেজ গিয়েছিল।’’