গ্রাফিক— শৌভিক দেবনাথ।
‘এক ব্যক্তি এক পদ’ বিতর্কে শুক্রবার দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে তরজা তুঙ্গে। কিন্তু ফিরহাদ শুক্রবার দলীয় সাংবাদিক সম্মেলন থেকে যা ঘোষণা করলেন, তা সপ্তাহ দুয়েক আগে প্রথম বলেছিলেন আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে মুখোমুখি কথায়? গত ২৯ জানুয়ারি আনন্দবাজার অনলাইনের ‘অ-জানাকথা’য় এসেছিলেন ফিরহাদ।
গত বছর নভেম্বরে পুরভোটের প্রার্থিতালিকা ঘোষণা হওয়ার আগে তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি ছিল, প্রাথমিক ভাবে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনেই ফিরহাদ, অতীন ঘোষ, মালা রায়দের টিকিট না দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। স্বয়ং নেত্রীর হস্তক্ষেপেই পুরভোটের টিকিট পান তাঁরা। ‘অ-জানাকথা’য় এ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে কী বলেছিলেন ফিরহাদ? কলকাতার বর্তমান মেয়র তথা রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘এক ব্যক্তি এক পদ মমতাদি চাইছেন বলে আমি অন্তত শুনিনি।’’ এই খবর প্রচারিত হয় আনন্দবাজার অনলাইনে।
৩০ জানুয়ারি, নেটমাধ্যমে ফিরহাদের এই মন্তব্য নিয়ে একটি পোস্ট করেছিলেন জনৈক তৃণমূল কর্মী। আনন্দবাজার অনলাইনের খবর ‘হাইলাইট’ করে আরও দুটি পুরনো টুইট পাশাপাশি দেখানো হয়। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, পোস্টে মমতা, তৃণমূল, অভিষেক এবং ফিরহাদ ছাড়াও তিনি ট্যাগ করেছেন তরুণ প্রজন্মের কর্মী তথা সম্পর্কে অভিষেকের ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বোন অদিতি গায়েনকে।
শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে ফিরহাদের সে দিনের কথাই যেন সবিস্তারে বেরিয়ে এল। বললেন, ‘‘এক ব্যক্তি এক পদ-এর সমর্থনে পোস্ট সমর্থন করছেন না দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক ব্যক্তি এক পদ নীতি মানে না দল।’’ পাশাপাশি এক ব্যক্তি এক পদকে সমর্থন করে নেটমাধ্যমে যাবতীয় পোস্ট মুছে দেওয়ারও নির্দেশ দেন ফিরহাদ। তিনি জানান, দলনেত্রীর অনুমতি নিয়েই এই কথাগুলো প্রকাশ্যে বলছেন তিনি।
এই প্রেক্ষিতে শনিবার বিকেল ৫টায় কালীঘাটে শীর্ষ নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে বসবেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানে তরুণ প্রজন্মের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশিই হাজির থাকার কথা অন্যান্য শীর্ষ নেতৃত্বেরও।