অনুব্রতকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেল বিমান। সঙ্গে ইডির আধিকারিক এবং দেখভালের জন্য এক চিকিৎসক। —নিজস্ব চিত্র।
বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে দিল্লি উড়ে গেল বিমান। সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৭ মিনিটে কলকাতা বিমানবন্দর থেকে অনুব্রতকে নিয়ে উড়ে যায় একটি বেসরকারি সংস্থার উড়ান। ওই বিমানে ৪৫ নম্বর আসনের যাত্রী অনুব্রত। বিমানে তাঁর শারীরিক অবস্থার দিকে নজর রাখার সম্পূর্ণ বন্দোবস্ত রয়েছে। সূত্রের খবর, যাত্রাপথে কেষ্টর শারীরিক পরিস্থিতি দেখভালের জন্য এক জন চিকিৎসক রয়েছেন। তা ছাড়া রয়েছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)-এর তিন আধিকারিক।
মঙ্গলবার সকালে পুলিশি প্রহরায় আসানসোল জেল থেকে বের করা হয় অনুব্রতকে। এর পর তাঁকে নিয়ে কনভয় রওনা দেয় কলকাতার দিকে। জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর বিকেলের দিকে অনুব্রতকে নিয়ে আসা হয় কলকাতা বিমানবন্দরে। সেখানে তিনি জানান, তাঁর শরীর খারাপ লাগছে। শ্বাসকষ্টের সমস্যার কথাও জানান তিনি। বেশ কয়েক বার ইনহেলার নিতেও দেখা যায় তাঁকে। তবে এ প্রসঙ্গে ইডি কোনও মন্তব্য করেনি। বিমানে ওঠার আগে ভিআইপি লাউঞ্জে বসে অনুব্রতকে এক কাপ লাল চা খেতে দেখা গিয়েছে বলে বিমানবন্দর সূত্রে খবর।
জেল থেকে অনুব্রতকে কলকাতায় পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বে ছিল আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ। মাঝে শক্তিগড়ের একটি ধাবায় জলখাবার সারেন অনুব্রত। সেখানে আধঘণ্টা ধরে বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির সঙ্গে ৩ জনের সঙ্গে কথা বলা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। পরে তাঁদের পরিচয় জানা যায়। জানা যায়, সবুজ পাঞ্জাবি পরা ব্যক্তি ছাড়াও বাকি যে দু’জন ছিলেন, তাঁদের এক জনের নাম তুফান মিদ্দা। তিনি অনুব্রতের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের গাড়িচালক। তৃতীয় জনের পরনে ছিল কালো ফুল স্লিভ শার্ট। সূত্রের খবর, তিনি আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি। ওই তিন জনকে অনুব্রতের সঙ্গে জলখাবারে কচুরি, ছোলার ডাল, ল্যাংচা ও রাজভোগ খেতে দেখা যায়।
অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য সকাল থেকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে শুরু হয় তোড়জোড়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জোকার ইএসআই হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা দেন ইডির চার আধিকারিক। দলে ছিলেন দিল্লির এক ইডি আধিকারিকও। সোমবার জোকার ইএসআই হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর কেষ্টকে ‘ফিট’ সার্টিফিকেট দেন চিকিৎসকেরা। এর পর দিল্লিতে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। যদিও একাধিক বার কেষ্টকে দেখা গিয়েছে কখনও তিনি বুক চেপে কখনও কোমরে হাত দিয়ে আস্তে আস্তে হাঁটছেন। বোঝাতে চেয়েছেন তিনি অসুস্থ।
অনুব্রত যে বিমানে রয়েছেন সেটি রাত ৯টা ১০ মিনিটে দিল্লির মাটি ছোঁবে।