—প্রতীকী চিত্র।
সরকারি জমির দখল নিয়ে দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়াল হাওড়ার বাঁকড়ার নিউ মণ্ডলপাড়ায়। সংঘর্ষ থামাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ডোমজুড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয় র্যাফ। দফায় দফায় লাঠি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নিউ মণ্ডলপাড়ার পাশেই রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের জলাজমি। অভিযোগ, শাসকদলের এক পক্ষ সরকারি জমি ও জলাশয় ভরাট করে চড়া দামে বিক্রি করতে শুরু করেছে। ওই এলাকার একটি সরকারি জলাজমি আবর্জনা ফেলে ভরাট করে রাস্তা তৈরি করতে গেলে অপর পক্ষ তাতে বাধা দেয়। যে পক্ষ জমি ভরাট করছিল, তাদের দাবি, আইনি ছাড়পত্র পেয়েই তারা ভরাট করছে। এই নিয়েই বচসা থেকে শুরু হয় দু’পক্ষের হাতাহাতি, সংঘর্ষ। খবর পেয়ে পুলিশ বাহিনী ও র্যাফ যায়। লাঠি চালিয়ে দু’পক্ষকে সরিয়ে দেয় তারা।
রেলের জমি ও জলাশয় ভরাটের বিরোধী, শাসকদলেরই অন্য পক্ষের অভিযোগ, বাঁকড়া নিউ মণ্ডলপাড়ায় যে জলাশয় ও জমি ভরাট করা হচ্ছে তা রেলের জমি। ওই সরকারি জমি ভরাট করলে বাঁকড়ার চারটি এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থা ভেঙে পড়বে। এর মধ্যে হাওড়া পুর এলাকার ৪৭ ও ৪৯ নম্বর ওয়ার্ড এবং বাঁকড়া ১ ও বাঁকড়া ৩ নম্বর পঞ্চায়েত এলাকা রয়েছে। ফলে প্রতি বছরই বর্ষায় এই চার এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়বে। যাঁরা এ দিন জলাজমি ভরাটে বাধা দেন, তাঁদের মধ্যে মহম্মদ মইনুদ্দিন লস্কর নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘‘এই কারণেই এলাকার লোকজন বেরিয়ে এসে এই ঘটনার প্রতিবাদ করেন। তখনই গোলমাল, সংর্ঘষ বেধে যায়।’’ এলাকার বাসিন্দারা জানান, জলাজমি ভরাট করে দখলের বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ কর্তা বলেন, ‘‘জলাজমি ভরাটের অভিযোগটি প্রশাসন খতিয়ে দেখছে। এলাকায় যাতে নতুন করে গোলমাল না হয়, সে জন্য পুলিশি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।’’