ফের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ নিউটাউনে। —নিজস্ব চিত্র।
সিন্ডিকেট নিয়ে ফের তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ নিউটাউনে। কয়েক মাস আগেই এ রকম সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল নিউটাউনের যাত্রাগাছিতে। সোমবারের ঘটনাটি ঘটেছে নিউটাউনের কদমপুকুরে, বন্ধের মোড়ের কাছে। সংঘর্ষের পরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় টেকনোসিটি এবং ইকো পার্ক থানার পুলিশ। গন্ডগোল থামাতে পৌঁছয় র্যাফও। পুলিশকে রীতি মতো লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে ছত্রভঙ্গ করতে হয় দু’পক্ষের মারমুখী লোকজনদের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউটাউনের ওয়েস্ট ইন মোড়ের কাছে একটি নির্মাণস্থলে ইমারতি মালপত্র কোন পক্ষ সরবরাহ করবে তা নিয়েই বিরোধের শুরু। কদমপুকুরের বিজেপি নেতা অসিত গায়েনের দাবি, তাঁদের গ্রামের সমবায় ওই নির্মাণস্থলে ইমারতি মালপত্র জোগান দেওয়ার বরাত পেয়েছিল। সেই বরাত অনুযায়ী কাজ করছিলেন সমবায়ের সদস্যরা। কিন্তু তাতে বাধা দেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। অসিতের দাবি, সোমবার সকালে নিউটাউনের দায়িত্ব প্রাপ্ত তৃণমূল নেতা মহম্মদ আফতাবুদ্দিনের নেতৃত্বে তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একটা বড় দল নির্মাণস্থলে হাজির হয় এবং কদমপুকুরের সমবায়ের সদস্যরা যাঁরা মূলত বিজেপি কর্মী সমর্থক, তাঁদের বাধা দেন। অভিযোগ, বাধা পেয়ে প্রতিবাদ করলে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা মারধর করেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের।
বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের কমলকৃষ্ণ নস্কর। তাঁর অভিযোগ, ‘‘ওখানে আমাদেরই ইমারতি মালপত্র সরবরাহের বরাত ছিল। জোর করে সেই বরাত বিজেপির সিন্ডিকেট দখল করার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ হয়।” পুলিশ সূত্রে খবর, সংঘর্ষে দু’পক্ষের ৪ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিজিৎ নস্কর নামে এক ব্যক্তি অসিত গায়েন এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে মারধর, ভয় দেখানোর অভিযোগ করেন। ইকো পার্ক থানার পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৫, ৫০৬ এবং ৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, আগে গোটা এলাকার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করতেন এলাকার বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত। সম্প্রতি তিনি বিজেপিতে যোগ দিলে, ওই এলাকার বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। তার পর থেকেই সিন্ডিকেট দখল নিয়ে গন্ডগোল শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে।