Jodhpur Park

এখনও আতঙ্কে যোধপুর পার্ক

পুলিশ সূত্রের খবর, গোলমালের ঘটনায় সুস্মিতা হালদার, কবিতা সর্দার, বলরাম সিংহ এবং কিরণ সিংহ নামে চার বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:৪১
Share:

প্রতীকী ছবি।

আপাতদৃষ্টিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক। রাস্তায় চলছে পুলিশি টহল। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি। ফের গোলমালের আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষ ঘিরে উত্তাল হয়ে ওঠে দক্ষিণ কলকাতার যোধপুর পার্ক এলাকা। অভিযোগ, দুই বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। পোড়ানো হয় মোটরবাইক। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মী। তাঁদের মধ্যে পুষ্পল ভট্টাচার্য নামে এক আধিকারিকের একটি আঙুল ধারালো অস্ত্রের কোপে কেটে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। সাতটি সেলাই পড়েছে সেখানে। তৃণমূলের অভিযোগ, সংঘর্ষে তাদের তিন কর্মী আহত হয়েছেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, গোলমালের ঘটনায় সুস্মিতা হালদার, কবিতা সর্দার, বলরাম সিংহ এবং কিরণ সিংহ নামে চার বিজেপি সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মারধর ও খুনের চেষ্টার মামলা রুজু করা হয়েছে। দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিশকে মারধরের ঘটনাতেও দায়ের হয়েছে পৃথক অভিযোগ। শুক্রবার ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হলে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

গ্রেফতারির প্রতিবাদে এ দিন সকাল থেকেই লেক থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি সমর্থকেরা। পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত সওয়া আটটা নাগাদ গোলমাল বাধে যোধপুর পার্কের রহিম ওস্তাগর রোডে। প্রথম দফায় স্রেফ বচসা, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি হয়। পরে গোলমাল বড় আকার নেয়। পুলিশ গেলে প্রথমে তাদেরও হামলার মুখে পড়তে হয়।

বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে তাঁরা যখন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছিলেন, তখনই তৃণমূল সমর্থকেরা বিনা প্ররোচনায় তাঁদের মহিলা সমর্থকদের উপরে হামলা চালান। পরে রহিম ওস্তাগর রোডে দুই বিজেপি কর্মীর বাড়িতেও ভাঙচুর হয়।

বিজেপি নেতা জয়দীপ ধর বলেন, ‘‘আমাদের মহিলা কর্মীদের মারধর ও হেনস্থা করা হল। বাড়ি ভাঙচুর করা হল। অথচ, উল্টে আমাদের দলের কর্মীদেরই গ্রেফতার করল পুলিশ! কিন্তু তৃণমূলের কাউকে ধরল না!’’ বিশ্বনাথ রায় ও শ্যামল সর্দার নামে এলাকার দুই বাসিন্দার বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। বিশ্বনাথবাবুর স্ত্রী যমুনাদেবী জানান, তাঁর নাতি রাজা বিজেপি কর্মী। শ্যামলবাবুর বাড়িতে অবশ্য কাউকে পাওয়া যায়নি।

তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি সমর্থকেরাই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে প্রচার করতে এসে মহিলাদের ধাক্কাধাক্কি ও কটূক্তি করেন। তা নিয়েই গোলমাল বাধে, উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। বিজেপি সমর্থকদের মারে শ্যামল পাচাল, মেঘনাদ পুরকাইত এবং সনৎ নস্কর নামে তিন তৃণমূলকর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। এমনকি, পুলিশ গোলমাল থামাতে গেলে বিজেপির এক সমর্থক ক্ষুর নিয়ে হামলা চালায় বলেও অভিযোগ। তাতেই পুষ্পলবাবুর আঙুল কেটে যায়।

বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ রতন দে বলেন, ‘‘কেউ প্রচারের কাজ করতেই পারে। কিন্তু কেউ তা সমর্থন না করলে মারতে হবে, গোলমাল করতে হবে? বিজেপি দুষ্কৃতীদের নিয়ে এলাকায় গোলমাল পাকাচ্ছে। তার জেরেই মানুষ উত্তেজিত হয়ে ওঠায় গোলমাল বাধে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement