হাতেনাতে ধৃত তিন পাচারকারী

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর আসে, হাওড়া স্টেশনের ৬ নম্বর গেটের সামনে বাংলাদেশের এক কিশোরীকে পাচার করার জন্য তিন জনের একটি দল জড়ো হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০১৮ ০০:৫৫
Share:

বাংলাদেশের এক কিশোরীকে মহারাষ্ট্রের পুণেতে পাচার করতে গিয়ে ধরা পড়ল এক বাংলাদেশি-সহ তিন পাচারকারী। মঙ্গলবার রাতে হাওড়া স্টেশন সাবওয়ের ৬ নম্বর গেটের কাছ থেকে তাদের গ্রেফতার করে গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে কিশোরীকে। ধৃতদের নাম মিখাইল বিশ্বাস, গোবিন্দ মাধুকর কারাট ও শ্যামল দাস। তিন অভিযুক্তকে বুধবার হাওড়া আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন। মেয়েটিকে লিলুয়া হোমে পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার গোপন সূত্রে খবর আসে, হাওড়া স্টেশনের ৬ নম্বর গেটের সামনে বাংলাদেশের এক কিশোরীকে পাচার করার জন্য তিন জনের একটি দল জড়ো হয়েছে। খবর পেয়েই সাদা পোশাকে হানা দেয় গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। ওই কিশোরী-সহ চার জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে গ্রেফতার হয় তিন জন। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে মিখাইলের বাড়ি বাংলাদেশের নোরালি জেলায়। গোবিন্দর বাড়ি মহারাষ্ট্রের শোলাপুরে। শ্যামল বনগাঁর জয়ন্তীপুরের বাসিন্দা।

পুলিশের দাবি, অভিযুক্তদের জেরা করে জানা গিয়েছে, ১৫ জানুয়ারি পেট্রাপোলে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পেরিয়ে মোট ৯ জন ভারতে ঢোকে। তাদের মধ্যে ছিল ওই মেয়েটিও। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ আরও জেনেছে, কিশোরীর সাথে প্রথমে প্রেমের অভিনয় করে বিশ্বাস অর্জন করে মিখাইল।
বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে মেয়েটি তার মায়ের সঙ্গে থাকত। লোকের বাড়ি কাজ করে মা কোনও রকমে সংসার চালান। পুলিশ জানায়, প্রেমের ফাঁদে ফেলার পরে মিখাইল মেয়েটিকে বলে, ভারতে গিয়ে অনেক টাকা আয় করে সংসার পাতা যাবে। সেই আশ্বাসে ভুলে কিশোরী মাকে কিছু না জানিয়েই মিখাইলের সঙ্গে সীমানা পেরিয়ে পেট্রাপোলে চলে যাসে। এর পরে শ্যামল দাসের মাধ্যমে তারা আসে হাওড়া স্টেশনে। সেখানে তাদের সঙ্গে দেখা হয় পুণে থেকে আসা গোবিন্দ মাধুকরের। পুলিশ জানায়, গোবিন্দের উপরেই দায়িত্ব ছিল ওই নাবালিকাকে পুণেতে পাচার করার। কিন্তু সময় মতো পুলিশ খবর পেয়ে যাওয়ায় সব পরিকল্পনা ভেস্তে যায়।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ জানিয়েছে, ওই কিশোরী বা মিখাইলের কাছে কোনও বৈধ নথিপত্র ছিল না। তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে বাংলাদেশের সিম কার্ড ও বাংলাদেশি টাকা। মিখাইল এর আগেও বাংলাদেশ থেকে ভারতে মহিলা পাচার করেছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement