গাঁধী জয়ন্তীতে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের নিবেদন। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া।
প্রবাদে পরিণত হওয়া সেই তিন বানর! দু’হাত দিয়ে চোখ, কান আর মুখ ঢেকে রেখেছে তারা। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীর ১৫২তম জন্মদিবস উপলক্ষে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের ফেসবুক পোস্টে তারা উঠে এসেছে।
শনিবার গাঁধী জয়ন্তীতে ওই ছবির সঙ্গেই রয়েছে গাঁধীর সম্প্রীতির বাণী— ‘সুখ তখনই, যখন তোমার ভাবনা, তোমার কথা এবং তোমার কাজের মধ্যে সামঞ্জস্য থাকে।’ আলিপুর চিডি়য়াখানার অধিকর্তা আশিসকুমার সামন্ত অবশ্য ফেসবুক পোস্টে তিন বানরের ‘উপস্থিতি’র ব্যাখ্যা দিতে চাননি। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘‘আপনারা আপনাদের মতো ব্যাখ্যা খুঁজে নিন।’’
প্রসঙ্গত, লন্ডনের সংবাদপত্র ‘দ্য ডেলি এক্সপ্রেস’-এ ১৯৩০ সালে প্রকাশিত গাঁধীর ব্যঙ্গচিত্র থেকেই পরবর্তী কালে ওই তিন বানরের ‘উৎপত্তি’। ভারতে আইন অমান্য আন্দোলনকারীদের উপর ব্রিটিশ সরকারের নৃশংস অত্যাচার সত্ত্বেও গাঁধী নীরব বলে অভিযোগ তুলে ওই ব্যঙ্গচিত্র আঁকা হয়েছিল। তাতে ছিল গাঁধীর তিনটি প্রতীক। যাঁরা বলছে— ‘খারাপ দেখি না, খারাপ শুনি না, খারাপ বলি না’। এই ব্যঙ্গচিত্রের সঙ্গে জাপানের প্রাচীন লোককথার সংমিশ্রণেই পরে তৈরি হয়েছিল সেই তিন বানর।