—প্রতীকী চিত্র।
লরি-সহ গম চুরি করার পরে তা বিক্রি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দুষ্কৃতী দলের তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম বিশ্বজিৎ যাদব, মণীশ যাদব ও প্রমোদ যাদব। রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পশ্চিম বন্দর থানার পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে চুরি যাওয়া ২১০ বস্তা গম উদ্ধার করা হয়েছে, যা রাখা ছিল প্রমোদের হেফাজতে। সোমবার তিন জনকে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের দু’দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, গত ৫ জুলাই গিরিশ পার্ক এলাকার একটি সংস্থার তরফে পশ্চিম বন্দর থানায় অভিযোগ দায়ের করে জানানো হয়, তাদের একটি গম-বোঝাই লরি ওই থানা এলাকার সোনাপুর রোডে রাখা ছিল। এফসিআই-এর গুদাম থেকে সোনারপুরে যাওয়ার কথা ছিল লরিটির। ৪ জুলাই গভীর রাতে গম বোঝাই করে লরিটি রাস্তায় রাখা হয়েছিল। পরদিন ভোরে চালক ও খালাসি এসে দেখেন, ২১০ বস্তা গম নিয়ে লরি বমাল উধাও। খোঁজ চালিয়ে হাওড়ার চামরাইলে লরি উদ্ধার হলেও গম পাওয়া যায়নি।
তদন্তকারীরা জানান, এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে প্রথমে কিছু শনাক্ত করা না গেলেও বোঝা যায়, লরিটি গিয়েছে হাওড়ায়। এর মধ্যেই সূত্র মারফত তাঁরা খবর পান, সেখানে এক জন কম দামে গম বিক্রি করতে চাইছে। সেই সূত্র ধরেই বন্দর এলাকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ ও মণীশের খোঁজ পাওয়া যায়। রবিবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ জানতে পারে, ওই গম রয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলের জঙ্গলপুরের একটি গুদামে। সেখানে হানা দিয়ে পুলিশ কেয়ারটেকার প্রমোদকে গ্রেফতার করে ২১০ বস্তা গম উদ্ধার করে।