সোমবার রযেছে চার পুরভোটের ফল ঘোষণা। ফাইল ছবি।
সোমবার সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু। কিন্তু সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সকাল ৭টার মধ্যে এসে উপস্থিত হতে হবে গণনা কেন্দ্রে। সাড়ে ৭টা থেকে নিরাপত্তা কর্মীরা তার ভেতরে প্রবেশ করাবেন। গণনা কেন্দ্র, গণনা কেন্দ্রের বাইরে ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে। গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। একদম বাইরে থাকবে আরটি মোবাইল, এইচআরএসএসও, কিউআরটি ফোর্স, সশস্ত্র বাহিনী ও লাঠিধারী পুলিশ। দ্বিতীয় স্তরে শুধুমাত্র বন্দুকধারী পুলিশ থাকবে। তৃতীয় স্তরে আরও বেশি বন্দুকধারী পুলিশ। গণনা কেন্দ্রের মধ্যে শুধুমাত্র তাঁদেরই প্রবেশ করতে দেওয়া হবে যাঁরা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃত অনুমতিপত্র নিয়ে যাবেন। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের কর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হবে দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত। তৃতীয় স্তরে শুধুমাত্র তাঁরাই প্রবেশ করতে পারবেন, যাঁদের কমিশন নিয়ে যাবে। সেখানে রাজ্য তথ্য-সংস্কৃতি ও জেলাশাসককের দফতরের কর্মীরা থাকবেন। তাঁরাই এ কাজে সহযোগিতা করবেন। তবে গণনা কেন্দ্রের প্রথম স্তরে ঢুকতে গেলে শুধুমাত্র সাদা কাগজ এবং পেন ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে যাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র সংবাদকর্মীদের এ ক্ষেত্রে দ্বিতীয় স্তর পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হবে।
আলাদা ভাবে ভোটকর্মীদের (ইলেকশন ভোটার) দেওয়া ভোটের গণনার কাজ শুরু হবে। একই সঙ্গে অন্য কক্ষে শুরু হয়ে যাবে ইভিএম গণনা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তার জন্য কঠোরতম ব্যবস্থা নিয়েছে। এই ফলাফলকে কেন্দ্র করে যাতে কোনও রকম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেই দিকে কমিশন সজাগ দৃষ্টি রেখেছে। পাশাপাশি কমিশন সূত্রে খবর, দুপুর ১টার মধ্যে ফলাফল সম্পূর্ণ প্রকাশিত হয়ে যাবে।
কমিশন জানাচ্ছে, আসানসোলে ২২ রাউন্ড, বিধাননগরে সর্বনিম্ন আট এবং সর্বোচ্চ ১৪ রাউন্ড, চন্দননগরের সর্বনিম্ন ছয় এবং সর্বোচ্চ ১১ রাউন্ড ও শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন ছয় এবং সর্বোচ্চ সাত রাউন্ড গণনা হবে।