প্রতীকী ছবি
দু’দলের গোলমাল থামাতে গিয়ে প্রাণ হারালেন কলকাতা পুলিশের এক সিভিক ভলান্টিয়ার। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর নাম ইরশাদ হোসেন ওরফে মহম্মদ সানি (৩৬)। তিনি ময়দান থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে তিন যুবককে।
পুলিশ সূত্রের খবর, খিদিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন ইরশাদ সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করার পাশাপাশি ঘোড়ার ব্যবসাও করতেন। শনিবার তাঁর ছুটি ছিল। তিনি ঘোড়াকে খাবার দিতে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরোন। তাঁর ঘোড়াটি রাখা থাকে হেস্টিংসের মাজারের কাছে। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, দানিশ নামে এক যুবক ও তাঁর সঙ্গীদের সঙ্গে সফেদ রহমান ওরফে সাইবা নামে এক যুবকের গোলমাল চলছে। দানিশের বাবা মহম্মদ ফিরোজ ঘোড়ার দেখভালের কাজ করেন। তিনিও ওই সময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশ জেনেছে, বচসা থামাতে ইরশাদ এগিয়ে গিয়েছিলেন। অভিযোগ, সাইবা তখন স্থানীয় বস্তির কিছু ছেলেকে ডেকে আনে। তারা এলে শুরু হয় হাতাহাতি। তখনই সাইবার দলের এক যুবক পিছন থেকে ইট দিয়ে ইরশাদের মাথায় মারে বলে অভিযোগ। ইরশাদ সেখানেই বসে পড়েন। ইরশাদকে বসে পড়তে দেখে সাইবা ও তার দলবল পালায় বলে জানা গিয়েছে।
ইরশাদের মাথায় ইট দিয়ে আঘাত করলেও কোনও রক্তপাত হয়নি বলে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন। কিন্তু তিনি অসুস্থ বোধ করতে থাকলে দ্রুত তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তত ক্ষণে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকেরা জানান। পুলিশ জানিয়েছে, দানিশের বাবা মহম্মদ ফিরোজের অভিযোগের ভিত্তিতে রবিবার সকালে সফেদ রহমান ওরফে সাইবা, অজয় রায় ও অভিষেক সিংহ নামে তিন যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে খুন ও ষড়যন্ত্রের মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়না-তদন্তের জন্য ইরশাদের দেহ পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাইবা আগে ওই এলাকায় লেবুর জল বিক্রি করত। কিন্তু লকডাউনের পর থেকে তা বন্ধ হয়ে যায়। সে প্রায় প্রতি রাতেই আশপাশের বস্তির ছেলেদের নিয়ে এলাকার মাঠে আড্ডা দিত। দানিশ বা তাঁর সঙ্গীরা তাঁদের ঘোড়া এবং গাড়ির নিরাপত্তার কথা ভেবে সেখানে আড্ডা দিতে বারণ করতেন। শনিবারও সেই নিয়েই প্রথমে বচসা শুরু হয়েছিল।