বঙ্কিম সেতু। ফাইল চিত্র।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য অরবিন্দ সেতু দিয়ে বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। আজ, শুক্রবার থেকে বন্ধ রাখা হচ্ছে প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড কানেক্টরের জীবনানন্দ সেতু এবং হাওড়ার বঙ্কিম সেতু। সকাল ছ’টা থেকে ওই দুই সেতু দিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে। কেএমডিএ সেতু দু’টির স্বাস্থ্য পরীক্ষার দায়িত্বে রয়েছে।
সেতু দু’টি বন্ধ হয়ে গেলে যানজট যাতে না হয়, তার জন্য বিকল্প রাস্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কলকাতা ও হাওড়া পুলিশ। জীবনানন্দ সেতু শুক্রবার সকাল থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বঙ্কিম সেতু বন্ধ থাকবে রবিবার রাত আটটা পর্যন্ত।
পুলিশ জানায়, লেক গার্ডেন্সের দিক থেকে যে সমস্ত বাস জীবনানন্দ সেতু হয়ে ইএম বাইপাসে যায়, সেগুলি এই তিন দিন যাদবপুর থানা থেকে বাঁ দিকে ঘুরে ঢাকুরিয়া ও গড়িয়াহাট হয়ে রাসবিহারী অ্যাভিনিউ কানেক্টর ধরে বাইপাসে পৌঁছবে। ফিরবেও একই পথে। তবে ছোট গাড়ি যাদবপুর থানা থেকে ঢাকুরিয়া কিংবা সুলেখা মোড় হয়ে যেতে পারবে ইএম বাইপাসের দিকে।
হাওড়া সিটি পুলিশ জানিয়েছে, বঙ্কিম সেতুর হাওড়া স্টেশনের দিকের র্যাম্পটি বন্ধ থাকায় শিবপুরমুখী সমস্ত যানবাহন যাবে গ্র্যান্ড ফোরশোর রোড ধরে। অন্য দিকে, পঞ্চাননতলা রোডের যানবাহন আই সি বসু রোড, হরিমোহন বসু রোড হয়ে চাঁদমারি সেতু দিয়ে পঞ্চাননতলা বা হাওড়া ময়দানে ঢুকবে। বঙ্গবাসীর দিক থেকে আসা কলকাতামুখী যানবাহন চলবে ওই সেতুর ডান দিকের র্যাম্প দিয়ে। কিছুটা যাওয়ার পরে গাড়িগুলি বাঁ দিকের র্যাম্প ধরবে। এ জন্য সেতুর ডিভাইডারের একটি অংশ ইতিমধ্যেই কাটা হয়েছে।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (ট্র্যাফিক) ওয়াই রঘুবংশী জানান, বঙ্গবাসী ও হাওড়া স্টেশনের দিকে সেতুর দু’টি র্যাম্পের কাজ একসঙ্গেই শুরু হবে। যান চলাচলে যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য অতিরিক্ত বাহিনী তৈরি রাখা হয়েছে বলে জানান ডিসি।
অন্য দিকে, বৃহস্পতিবার রাতে যান চলাচল বন্ধ করা হল চেতলা রোডের চেতলা লকগেট সেতুতে। পথচারীদের যাতায়াতের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। পুলিশের দাবি, কেএমডিএ ওই সেতুটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সেটি বন্ধ রাখার আবেদন করেছিল। তবে কত দিন সেতুটি বন্ধ থাকবে, তা নিয়ে কেএমডিএ-র তরফে কিছু জানানো হয়নি। মাঝেরহাট সেতু ভাঙার পরে ওই রাস্তা দিয়েই ছোট গাড়ি নিউ আলিপুর ও আলিপুরের মধ্যে চলাচল করত। এখন বিকল্প ওই রাস্তা বন্ধ হওয়ায় যাওয়ায় মাথায় হাত পুলিশকর্তাদের!