এটিএম কার্ড স্কিমিং-কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে বিহারের তিন বাসিন্দাকে। পুলিশ জানায়, তারা ‘গয়া গ্যাং’-এর সদস্য। তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে স্কিমিং মেশিন-সহ জালিয়াতির একাধিক যন্ত্র, ফাঁকা এটিএম কার্ড এবং ল্যাপটপ।
পুলিশ জানায়, পিকনিক গার্ডেনের বাসিন্দা এ জে গোমসের অভিযোগের ভিত্তিতে মহম্মদ আদিল খান, মহম্মদ আফতাব আলম ও মহম্মদ আমির খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি অরূপ চক্রবর্তী জানান, বৃহস্পতিবার ধৃতদের আদালতে ১১ দিনের পুলিশি হেফাজত হয়েছে।
লালবাজার জানায়, গত ৩ মার্চ পিকনিক গার্ডেনের ওই বাসিন্দা এন্টালি থানায় অভিযোগ করেন, তাঁর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় ৪৮,০০০ টাকা তোলা হয়েছে। ওই সময়ে তাঁর কাছেই এটিএম কার্ডটি ছিল। কোনও লেনদেন করেননি। লালবাজারের গোয়েন্দারা মহম্মদ আদিল খান নামে এক অভিযুক্তকে চিহ্নিত করেন। তাকে ধরার পরে বাকি দু’জনকে ধরা হয়।
পুলিশের দাবি, গয়া গ্যাং-এর সদস্যেরা নজর রাখে, কখন এটিএমে প্রবীণ নাগরিকেরা ঢুকছেন। তার আগে এরা কাউন্টারের যন্ত্রে কাঠি গুঁজে কি-প্যাড বিকল করে দিত। গ্রাহক ওই এটিএমে কার্ড ঢোকালেও লেনদেন করতে পারতেন না। গ্রাহক উদ্বিগ্ন হলেই জালিয়াতেরা সাহায্য করার নামে ভিতরে ঢুকত। এক তদন্তকারী জানান, জালিয়াতেরা গ্রাহকের কার্ডটি দেখার সময়েই তাদের হাতের তালুতে লুকনো কপিয়ার মেশিনে কার্ড ঘষে সব তথ্য নকল করে নিত। পরে ফাঁকা ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ কার্ডে ওই তথ্য যুক্ত করে পিন দিয়ে টাকা তুলত। এই অভিযোগকারীর ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানায়, ঘটনার সঙ্গে এটিএমের রক্ষীদের যোগাযোগের সূত্র মিলেছে। ধৃতদের জেরা করে বাকিদের খোঁজ চলছে।