Crime

খাওয়ার দাম মেটানো নিয়ে রাগে খুন, ধৃত ৩

দীর্ঘদিন বাদে চার বন্ধু একসঙ্গে হওয়ায় তাঁরা একটি ট্যাঙ্কারে চেপে আলমপুরের ধাবায় যান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০১:০৪
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

ধাবায় খাওয়াদাওয়ার পরে দাম মেটানো নিয়ে বচসার জেরে ট্যাঙ্কার চাপা দিয়ে এক চালককে খুন করার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার হাওড়ার আন্দুলের পাঁচপাড়ায়। মৃত চালকের নাম বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী (৩৮)। খুনের অভিযোগে পুলিশ তাঁর তিন বন্ধুকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম রাজু শর্মা, অঙ্কিত শর্মা এবং রাজেশ চক্রবর্তী। ধৃতেরা প্রত্যেকেই ট্যাঙ্কারচালক ও খালাসি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, ট্যাঙ্কারচালক বিশ্বজিৎ উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগরে একটি পেট্রল পাম্পে চালকের কাজ করতেন। তাঁর বাড়ি নাজিরগঞ্জের পোদরার চন্দ্রবাটিতে। ঘটনার দিন মৌরিগ্রামের ইন্ডিয়ান অয়েল সংস্থা থেকে তেল নিয়ে দু’টি ট্যাঙ্কার একসঙ্গে হাবরার গুমায় একটি পেট্রল পাম্পে যায়। পুলিশ জানায়, একটি ট্যাঙ্কার নিয়ে গিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ আর অন্যটি নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁর তিন বন্ধু রাজু, অঙ্কিত ও রাজেশ। বিশ্বজিৎ সেখানেই নিজের ট্যাঙ্কার খালি করে গাড়িটি রেখে তিন বন্ধুর সঙ্গে অন্য ট্যাঙ্কারে চেপে হাওড়ার দিকে রওনা হন। পরদিন সকালে বিশ্বজিতের বাড়িতে খবর যায় আন্দুলের পাঁচপাড়ায় তাঁর রক্তাক্ত দেহ ট্যাঙ্কারের ভিতরে পড়ে রয়েছে। পরিবারের লোক তিন বন্ধুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করলে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে, দীর্ঘদিন বাদে চার বন্ধু একসঙ্গে হওয়ায় তাঁরা একটি ট্যাঙ্কারে চেপে আলমপুরের ধাবায় যান। গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে পানভোজন চলে। এর পরে দাম দেওয়া নিয়ে তাঁদের মধ্যে বচসা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত খাবারের দাম দিতে হয় রাজুকে। পুলিশ জানায়, খাবারের দাম দেওয়ায় রাজু নামের ওই খালাসি রেগে ছিল। সে বাড়ি চলে যাওয়ার নাম করে আচমকা ট্যাঙ্কারে উঠে পড়ে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা তিন জনের দিকে জোরে সেটি চালিয়ে দেয়। পুলিশ জানায়, সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গিয়েছে, সকলে রাস্তা থেকে সরে গেলেও বিশ্বজিৎ সরতে পারেননি। ট্যাঙ্কারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টো দিকে দাঁড়িয়ে থাকা আরও একটি ট্যাঙ্কারের মাঝখানে আটকে যান তিনি। তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

পুলিশ জানায়, এর পরে কী করবে বুঝতে না পেরে তিনি বন্ধু মৃত বিশ্বজিৎকে তুলে চালকের আসনে বসিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়। এই তিন জনেরই এক জন বিশ্বজিতের পরিবারকে খবর দিয়েছিল বলে দাবি পুলিশের। সকালে মৃতের পরিবার থেকে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement