এই ধরনের খবরের ক্ষেত্রে আসল ছবি প্রকাশে আইনি নিষেধাজ্ঞা থাকে। —প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
‘বান্ধবীর বাড়ি যাচ্ছি’ বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল মেয়েটি। পরে তাকে উদ্ধার করা হল বিএসএফের আবাসন থেকে। অভিযোগ, ওই আবাসনে আটকে রেখে মেয়েটিকে মাদক মেশানো খাবার খাইয়ে একাধিক বার ধর্ষণ করেছে এক বিএসএফ জওয়ানের ছেলে।
জলপাইগুড়িতে এই অভিযোগে ইতিমধ্যেই অভিযুক্তকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। জলপাইগুড়ির জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে বলেন, ‘‘মোবাইল টাওয়ারের সূত্র ধরে বিএসএফ ক্যাম্পাসের একটি বাড়ি থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযুক্তকে ধরা হয়েছে।’’ পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনায় জড়িত হিসাবে ধৃতের কয়েক জন সঙ্গীর নামও উঠে এসেছে জেরায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার স্কুলে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী। বাড়িতে বলে গিয়েছিল, পরীক্ষা দিয়ে সে বান্ধবীর বাড়িতে যাবে। সেখানেই থাকবে। এর পর বুধবার রাতে মেয়েটি বাড়িতে ফোন করে জানায়, তাকে কয়েক জন বিএসএফ আবাসনে ‘আটকে’ রেখেছে। বাড়ির লোকেরা এলাকার বাসিন্দা জেলা পরিষদের এক সদস্যাকে বিষয়টি জানান। এর পর বুধবার রাতেই বিএসএফ আবাসনে পৌঁছোয় পুলিশ। কিন্তু পুলিশ এবং বিএসএফ যৌথ ভাবে খোঁজ করেও নাবালিকার হদিস পায়নি। শেষমেশ বৃহস্পতিবার সকালে ৮৪টি আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। ধরা হয় অভিযুক্ত নাবালককে।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের বাবা ভিন্রাজ্যে কর্মরত। বহু চেষ্টা করেও ধৃতের বাবা এবং মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
ঘটনায় বিএসএফ আবাসনে নিরাপত্তা ও নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। বহিরাগত কেউ আবাসনে কী ভাবে ঢুকল জানতে চাওয়ায় বিএসএফ সূত্রের দাবি, আবাসনের বাসিন্দাদের আত্মীয়দের যাতায়াতের অনুমতি থাকে। এ ক্ষেত্রে হয়তো তেমনই কোনও পরিচয় দেওয়া হয়েছে। সিসি ক্যামেরায় দেখা গিয়েছে, মোটরবাইকে চেপে ছেলেটি ও মেয়েটি আবাসন চত্বরে ঢুকেছে। রাতে বিএসএফ বিবৃতিতে জানায়, পুলিশ তাদের জানানোর পরে তল্লাশি শুরু হয়। উদ্ধার হওয়ার পরে নাবালিকা ও অভিযুক্ত নাবালককে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।