— প্রতীকী চিত্র।
হরিদেবপুরকাণ্ডে ধৃত তিন জনকে শুক্রবার পুলিশি হেফাজতে পাঠাল আদালত। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানেই থাকবেন তাঁরা। এই ঘটনায় মোট তিনটি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। প্রতিটি মামলাতেই পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্সেস) ধারা যোগ করা হয়েছে।
হরিদেবপুরের হোমে দৃষ্টিহীন নাবালিকাদের নির্যাতনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করা হয়েছিল হোমের অধ্যক্ষ এবং সেক্রেটারিকে। ধৃত সেক্রেটারির নাম জীবেশ দত্ত। তিনি হোমের প্রতিষ্ঠাতাও বটে। তবে অধ্যক্ষ মহিলা হওয়ায় তাঁর নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ। শুক্রবার সকালে গ্রেফতার হন হোমের রাঁধুনি। বৃহস্পতিবার রাতেই তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল পুলিশ। শুক্রবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তার পর তিন জনকে আদালতে হাজির করানো হয়।
হরিদেবপুরের ওই হোমে মূলত দৃষ্টিহীনদের বাস। সেখানে থেকেই পড়াশোনা করেন তাঁরা। সেই হোমের বেশ কয়েক জন নাবালিকাকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ২০১০ সাল থেকে নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ। পুলিশের কাছে ধর্ষণ এবং শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানায় হোমেরই দুই নাবালিকা। তার পরেই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। পুলিশের কাছে যে এফআইআর করা হয়েছিল, সেখানে হোমের অধ্যক্ষ, সম্পাদক এবং রাঁধুনির নাম রয়েছে। এই নির্যাতনের খবর পাওয়া সত্ত্বেও হোমের অধ্যক্ষ কোনও রকম পদক্ষেপ করেননি বলেও অভিযোগে জানানো হয়েছে। হোমের নাবালিকাদের উপর নির্যাতন চলছে, এই মর্মে প্রথমে অভিযোগ জমা পড়ে রাজ্যের শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে। তার পর বিষয়টি নিয়ে তৎপর হয় পুলিশও। বৃহস্পতিবার রাতেই হোমে তল্লাশি চালায় পুলিশ।