যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত ১২ জন। — ফাইল চিত্র।
যাদবপুরে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় পকসো (প্রোটেকশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেন্স) ধারা যোগ করল কলকাতা পুলিশ। এই ঘটনায় প্রথমে খুন এবং পরে র্যাগিংয়ের ধারায় মামলা করেছিল পুলিশ। এ বার ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে পকসো আইনে (ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২ নম্বর ধারা) মামলা করা হল। আদালতের নির্দেশে ধৃতেরা সকলেই ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতে থাকবেন। কলকাতা পুলিশ সূত্রে আগেই জানানো হয়েছিল, যাদবপুরকাণ্ডে পকসো ধারা যোগ করা হতে পারে। কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ এ বার এই ঘটনার তদন্ত করবে।
গত ৯ অগস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের তিনতলার বারান্দা থেকে পড়ে গিয়েছিলেন প্রথম বর্ষের ছাত্র। ওই ছাত্র নাবালক ছিলেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হস্টেলের নীচে বিবস্ত্র অবস্থায় পড়েছিলেন ওই ছাত্র। পুলিশ পরে তদন্তে নেমে জানতে পারে, হস্টেলের একটি ঘরে তাঁকে বিবস্ত্র করানো হয়েছিল। তাঁকে কি বাধ্য করা হয়েছিল? আদতে কী ঘটেছিল, তা ধৃতদের জেরা করে জানার চেষ্টা করছে কলকাতা পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে পকসো ধারা যোগ করল পুলিশ।
ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁরা সকলেই সেই রাতে হস্টেলে ছিলেন। অনেকে আবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করেও হস্টেলে থেকে গিয়েছিলেন। এই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতার করা হয়েছিল প্রাক্তনী সৌরভ চৌধুরীকে। তার পর দুই পড়ুয়া দীপশেখর দত্ত এবং মনোতোষ ঘোষকে গ্রেফতার করা হয়। ক্রমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলি থানা এলাকার বাসিন্দা অসিত সর্দার, মন্দিরবাজারের সুমন নস্কর এবং পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার বাসিন্দা সপ্তক কামিল্যা (প্রাক্তনী), জম্মুর বাসিন্দা মহম্মদ আরিফ (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং), পশ্চিম বর্ধমানের বাসিন্দা আসিফ আফজল আনসারি (চতুর্থ বর্ষ, ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং), উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা অঙ্কন সরকার (তৃতীয় বর্ষ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং)-কে গ্রেফতার করা হয়। পরে এই ঘটনায় জয়দীপ ঘোষ নামে আরও এক প্রাক্তনীকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশকে ৯ অগস্ট রাতে হস্টেলে ঢুকতে বাধা দিয়েছিলেন তিনি।