ডেঙ্গি নিয়ে সতেনতা প্রচারে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ফিরহাদ হাকিমের। নিজস্ব চিত্র।
গত বারের তুলনায়, এ বছর এখনও পর্যন্ত কলকাতায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক নয়। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মশার লার্ভা নিধনে পুরকর্মীরা বাধার মুখে পড়লেও শহরবাসী আগের থেকে অনেকটাই সচেতন হয়েছেন। সে কারণে গত ১ জানুয়ারি থেকে ২৬ জুন পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ১০০ জন। এমনটাই মনে করছে কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ। গত বছরে এই সময়ের মধ্যে ছ’শোরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এ বারে বিশেষ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সোশ্যাল মিডিয়ার প্রচারের উপর বেশি জোর দিতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। শনিবার কলকাতা পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম ডেঙ্গির বিষয়ে সতেনতা প্রচারে নতুন একটি কর্মসূচিও ঘোষণা করেন। নাম দেওয়া হয়েছে ‘১ দিন ১০ মিনিট’।
কী সেই কর্মসূচি? ফিরহাদ বলেন, “সপ্তাহে ১ দিন ১০ মিনিটের জন্য যদি কেউ নিজের বাড়ির দিকে নজর দেন, তা হলে ভয়াবহ পরিস্থিতি আটকানো যাবে। কোনও পাত্রে অথবা টবে, বাড়ির কোণায় কিছুতে দীর্ঘ দিন ধরে জল জমে আছি কি না, তা নজর রাখতে হবে। যদি এমন হয়, জল ফেলে দিতে হবে। তা হলেই ডেঙ্গির মশা জন্মাতে পারবে না।”
আরও পড়ুন: সংক্রমণ রোধে মেট্রোয় টোকেন বন্ধের ভাবনা
আরও পড়ুন: লকডাউনে কাজ হারিয়ে অনটন, আত্মহত্যার চেষ্টা মা ও দুই ছেলের
ফিরহাদ জানিয়েছেন, কলকাতার সব বরোতেই ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ার মোকাবিলায় প্রতিসপ্তাহে বৈঠক হচ্ছে। কী ভাবে প্রকোপ ঠেকানো যায় তারও চেষ্টা হচ্ছে। তবে মানুষের সহযোগিতা না পেলে, তা সম্ভব হবে না বলে মত ফিরদাদের। তাঁর কথায়, ‘‘সপ্তাহে এক দিন অন্তত্য নিজের বাড়ি পরিষ্কার করুন। পাশের বাড়িতেও যদি দেখেন, মশা জন্মানোর মতো অবস্থা রয়েছে, প্রতিবাদ করুন।”
এই বিষয়টি সোশ্যাল মিডিয়া বিভিন্ন ভাবে প্রচার করতে চাইছে পুরসভা। পাড়া পাড়ায় গিয়ে মশার লার্ভা নিধনে সমস্যা হচ্ছে, তাই নাগরিককে এ বিষয়ে সচেতন করা গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করছেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য অতীন ঘোষ। দীর্ঘ দিন ধরেই পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া-সহ নানা জায়গার উদাহরণ টেনে এ দিন অতীন বলেন, “অন্যান্য জায়গায় হাজার হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে মারা যাচ্ছেন। সেই তুলনায় এ রাজ্যে এবং কলকাতায় ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়নি। গত বছর ৬০০ উপরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এ বার ১০০-ও হয়নি।”