কলকাতা মেট্রো। —ফাইল চিত্র।
উত্তর-দক্ষিণ মেট্রোর গিরিশ পার্ক এবং ময়দান ইয়ার্ডে ইস্পাতের থার্ড রেল বদলের কাজ আগেই সম্পূর্ণ হয়েছিল। এ বার সেন্ট্রাল মেট্রো স্টেশনের পরিসরের মধ্যে ৭০ মিটার অংশে ওই কাজ শেষ হল। ইয়ার্ডের তুলনায় ট্রেন চলাচলের নিয়মিত পথে নির্দিষ্ট সময় ধরে ওই কাজ সম্পূর্ণ করা কঠিন ছিল বলে জানাচ্ছেন মেট্রো কর্তৃপক্ষ। গত শুক্রবার রাতে পরিষেবা বন্ধ হওয়ার পরে পাঁচ ঘণ্টা সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে হয়। কোথাও সমস্যা হলে পরের দিনের পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। মেট্রো সূত্রের খবর, ইস্পাতের থার্ড রেল অপসারণ, তার জায়গায় মাপ মতো নতুন কাঠামোর উপরে থার্ড রেল বসানো, বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন, লাইনের সঙ্কোচন-প্রসারণের জায়গা রাখার ব্যবস্থা করা-সহ একাধিক খুঁটিনাটি সামলে ওই কাজ করতে হয়েছে। মেট্রোর দুই অধিকর্তা সুমিত কয়াল এবং অভিষেক সিংহের তত্ত্বাবধানে ওই কাজের খুঁটিনাটি পরিকল্পনা করা হয়। মেট্রো সূত্রের খবর, নির্দিষ্ট সময়ের ঘণ্টাখানেক আগেই কাজ সম্পূর্ণ করা হয়।
২০১২ সালের পর থেকে দেশের সব মেট্রোপথে অ্যালুমিনিয়ামের থার্ড রেল ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক করেছে রেল মন্ত্রক। কলকাতা মেট্রোর নতুন লাইনে ওই ব্যবস্থা মেনে চলা হলেও চারদশকের পুরনো লাইনে ওই সুবিধা ছিল না। ইস্পাতের থার্ড রেল ব্যবহারকরে ডিসি কারেন্টে মেট্রো চালানো নানা দিক থেকে সমস্যার কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছিল। ইস্পাতের তড়িৎ পরিবহণ ক্ষমতা অ্যালুমিনিয়ামের ছয় ভাগের এক ভাগের থেকেওকম। ওই ব্যবস্থায় প্রচুর তাপ উৎপন্ন হয়ে বিদ্যুতের অপচয় হয়।পাশাপাশি, সুড়ঙ্গের উষ্ণতা বাড়ে। কলকাতা মেট্রোয় এখন উত্তর-দক্ষিণ শাখায় তিনটি সংস্থার তৈরি তিন ধরনের রেক চলে। যাদের প্রত্যেকের থার্ড রেল থেকে বিদ্যুৎ টানারব্যবস্থা ভিন্ন।