প্রতীকী ছবি।
হলুদ রঙের ব্যাগে রেখে দেওয়া হয় কোভিড-বর্জ্য। সংশ্লিষ্ট পুরসভার কর্মীরা তা সংগ্রহ করে নিকটবর্তী কোনও মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেখে দেন। সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করে নেয় ‘কমন বায়ো মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট ফেসিলিটিজ়’-এর (সিবিএমডব্লিউটিএফ) কর্মীরা। কোভিড-বর্জ্য সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে এ ভাবেই সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে, তা হলফনামা দিয়ে জাতীয় পরিবেশ আদালতকে জানিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
পর্ষদ জানিয়েছে, যে গাড়িতে ওই বর্জ্য নিয়ে যাওয়া হয়, তার চালক ও সহকারীকে পিপিই দেওয়া হচ্ছে। একই ভাবে বর্জ্য সংগ্রহের প্রতিটি ধাপে কী কী সুরক্ষা বিধি পালন করা হচ্ছে, তা-ও বলেছে পর্ষদ। হোম কোয়রান্টিন, হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড, কোভিড হাসপাতাল-সহ কোভিড সংক্রান্ত সমস্ত কেন্দ্র থেকে কী ভাবে বর্জ্য সংগ্রহ করা হবে, তা নিয়ে অনেক আগেই নির্দিষ্ট রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। বর্জ্য সংগ্রহ, প্রক্রিয়াকরণ ও তা নষ্ট করার কোনও ধাপে যাতে সুরক্ষাবিধি লঙ্ঘন না হয়, তার উপরে জোর দিয়েছে পর্ষদ। তাই বর্জ্য ফেলার পরে সংশ্লিষ্ট গাড়ি যাতে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হয়, তা সুনিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
কিন্তু তার পরেও সাধারণ মানুষের একাংশের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি হয়নি বলে জানাচ্ছেন প্রশাসনের কর্তাদের একটি অংশ। এখনও অনেকেই যেখানে-সেখানে ‘ডিসপোজ়েবল’ মাস্ক-গ্লাভস ফেলে রাখছেন। এক কর্তার কথায়, ‘‘কোভিড-বর্জ্য থেকে সংক্রমণ ছড়াতে পারে। তাই তা সংগ্রহ ও প্রক্রিয়াকরণের সমস্ত ধাপে চূড়ান্ত সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে। কিন্তু মানুষের মধ্যে এখনও সেই সচেতনতা তৈরিই হয়নি। সেটাই প্রয়োজন।’’