—প্রতীকী ছবি।
প্রাক্ পুজো ও পুজোর দিনগুলিতে মেট্রো পরিষেবার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষোভের আঁচ বাড়ছে কর্মীদের মধ্যে। যে ভাবে পরিষেবার সময় নির্বাচন করা হয়েছে, তাতে শিফটের কাজের পরে কর্মীরা কী ভাবে বাড়ি ফিরবেন, তা বিবেচনায় আনা হয়নি বলে অভিযোগ। কর্মীদের অনেকেরই আশঙ্কা, রাত পার করে পরিষেবার দায়িত্ব মিটিয়ে বাড়ি ফিরতে না পারলে তাঁদের স্টেশনেই রাত কাটাতে হতে পারে।
এই অবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেয়ে পরের দিন ফের কাজে যোগ দিতে হবে তাঁদের। কর্মীদের এই ক্ষোভ কর্তৃপক্ষের নজরে আনতে কলকাতা মেট্রোর ‘প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর তরফে মেট্রোর প্রিন্সিপ্যাল চিফ অপারেশন্স ম্যানেজারের কাছে চিঠি লিখে অভিযোগ জানানো হয়েছে। মেট্রোর কর্মীদের কাজ সামলে বাড়ি ফিরতে না পারার সমস্যার কথা উল্লেখ করা হয়েছে ওই চিঠিতে।
মেট্রো সূত্রের খবর, আগামী ৯ এবং ১২ অক্টোবরের ট্রেন চলাচলের সূচি নিয়ে ক্ষোভ সবচেয়ে বেশি। ৯ অক্টোবর, ষষ্ঠীর দিন সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পরিষেবা খোলা থাকবে। রাত ১২টায় প্রান্তিক স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে অন্য প্রান্তে পৌঁছতে প্রায় রাত ১টা বাজবে বলে জানাচ্ছেন মেট্রোর কর্মীরা। ওই দিন কাজ মিটিয়ে পরদিন সপ্তমীতে দুপুর ১টা থেকে পরিষেবা শুরু হবে। একই আশঙ্কা ১২ অক্টোবর রাতে ১২টা পর্যন্ত মেট্রো চালানো নিয়ে। প্রশ্ন, ওই দিন অন্য যানবাহন এমনিতেই কম থাকে। তা সত্ত্বেও কেন এই সূচি তৈরি হল?
পুজোর দিনগুলিতে মাঝেরহাট-জোকা এবং নিউ গড়িয়া-রুবি মেট্রো বন্ধ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ‘প্রগতিশীল শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন’-এর সহ সভাপতি শুভাশিস সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘বাস্তবের সঙ্গে সম্পর্কহীন সূচি। কর্মীদের কথা ভাবেননি কর্তারা।’’ কর্তাদের অবশ্য দাবি, যাত্রীদের মেট্রো নির্ভরতা মাথায় রেখেই সূচি হয়েছে।