যে রাজ্যে তেলেভাজাও শিল্প, সেখানে জামাইষষ্ঠীর সরকারি বিপণনই বা কম যাবে কেন? এ বার তাই জামাই আদরে সরকারের ব্যবস্থাপনায় মহাভোজ। অবশ্যই কয়েকশো টাকা খরচে।
বিভিন্ন উৎসবে অনেক হোটেল রেস্তোরাঁ ভোজের প্যাকেজ বানায়। কিন্তু সরকারের হাত ধরে জামাই খাওয়ানোর এমন সুযোগ শাশুড়িরা আগে পাননি।
গ্রীষ্ম-সন্ধ্যায় নৌকো বিহারে দু’জন। ঝকঝকে ঝিল পেরিয়ে নিরিবিলি এক দ্বীপে। চার দিকে শুধু সবুজ। জামাই-শাশুড়ি মিলে পৌঁছে যাওয়া যায় সেই দ্বীপের মাঝেই ছোট্ট ‘কাফে একান্তে’। ছিমছাম পরিবেশে মাটির বাসনে খাঁটি বাঙালি ভোজ। লুচি-পোলাও, মুরগি-মটনের হরেক মেনু। সৌজন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজারহাটের ইকো পার্কে সদ্য চালু হয়েছে এই বাঙালি খাবারের কাফে। তাকেই জামাইষষ্ঠীতে নতুন ঠিকানা হিসেবে তুলে ধরেছে ‘হিডকো’।
তবে চাঁদিফাটা গরমে খাওয়া এবং খাওয়ানো, দু’দিকেই চাপ বেড়েছে। তাপ ছুঁয়ে যাচ্ছে জামাইষষ্ঠীর চিরকালীন পছন্দের নানা পদকে।
জামাইষষ্ঠীর বড় চাহিদা ইলিশের দাম চড়েই আছে। মানিকতলা, গড়িয়াহাট বাজারে ইলিশের দাম ১২০০ টাকা ছুঁয়েছে। পাতিপুকুর বাজারে বেড়েছে কাতলার দর। বড়বাজারে ডাল, সর্ষের তেলের দামও চড়া। ব্যবসায়ীরা বলেন, এর জন্য মূলত দায়ী ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ও মাল সরবরাহের খরচ বেড়ে যাওয়া।