চুরি ছাউনিতে, চিন্তিত পুরসভা

সরকারি সম্পত্তি চুরি যাচ্ছে এই অভিযোগ জানিয়ে থানায় চিঠি দিল কলকাতা পুরসভা। অভিযোগ, শহর জুড়ে সদ্যনির্মিত বাসস্ট্যান্ডগুলির অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেম, ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড, টিউবের চোখ এবং এলইডি চুরি হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

জয়তী রাহা

শেষ আপডেট: ০১ এপ্রিল ২০১৭ ০১:৫১
Share:

উধাও: চুরি হয়ে গিয়েছে ডিসপ্লে বোর্ড। বি আর সিংহ হাসপাতালের সামনে। নিজস্ব চিত্র

সরকারি সম্পত্তি চুরি যাচ্ছে এই অভিযোগ জানিয়ে থানায় চিঠি দিল কলকাতা পুরসভা। অভিযোগ, শহর জুড়ে সদ্যনির্মিত বাসস্ট্যান্ডগুলির অ্যালুমিনিয়ামের ফ্রেম, ইলেকট্রনিক ডিসপ্লে বোর্ড, টিউবের চোখ এবং এলইডি চুরি হয়ে যাচ্ছে। কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, কলকাতা জুড়েই এই সমস্যা।

Advertisement

সম্প্রতি শহরের সৌন্দর্যায়নের জন্য ১৮৫টি যাত্রী ছাউনি নতুন করে তৈরি করেছিল পুরসভা। সেই কাজ শেষ হয়েছে প্রায় মাস দুই আগে। কলকাতা পুরসভা দরপত্রের মাধ্যমে যাত্রী ছাউনি তৈরির বরাত দিয়েছিল দু’টি সংস্থাকে। দেখভালের দায়িত্বও ওই দুই নির্মাণকারী সংস্থার।

কিন্তু পর পর চুরির ঘটনায় মাথায় হাত পড়েছে ওই দুই সংস্থার। একটি সংস্থার এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রায় গোটা কুড়ি যাত্রী ছাউনিতে নিয়মিত চুরি হয়ে যাচ্ছে। আবার লাগাতে বাধ্য হচ্ছি। কারণ, বিজ্ঞাপনের জন্য ডিসপ্লে বোর্ড এবং আলো জরুরি। লাগানোর তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে ফের চুরি হয়ে যাচ্ছে। বেশি দিন এ ভাবে চলতে থাকলে সংস্থার আর্থিক ক্ষতি হবে।’’

Advertisement

কলকাতা পুরসভার এক আধিকারিক জানান, শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি রোড রাসবিহারী অ্যাভিনিউ ক্রসিং, শিয়ালদহের বিগবাজারের সামনে, বিআর সিং হাসপাতালের বিপরীতে, বেলেঘাটা অঞ্চলে সব চেয়ে বেশি চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়াও গড়িয়াহাট আইটিআই, সানি টাওয়ারের কাছে মিজোরাম হাউজ, বালিগঞ্জ ফাঁড়ির মতো এলাকার যাত্রী ছাউনি থেকেও চুরি হচ্ছে।

কলকাতা পুরসভার সংশ্লিষ্ট দফতরের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘সংস্থার পক্ষ থেকে এই অভিযোগ পাওয়ার পরে আমরা পুরসভার তরফে চারটি থানায় চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানিয়েছি। ভবানীপুর, কালীঘাট, শেক্সপিয়র সরণি এবং বেলেঘাটা থানায়।’’

এ নিয়ে পুলিশের ভুমিকা কী? দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত থানাগুলি থেকে আমাদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি। এর পরও সমস্যা হলে অন্য কোনও ব্যবস্থা করতে হবে।’’ এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত যুগ্ম কমিশনার (সদর) সুপ্রতিম সরকারের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করা হলেও কোনও উত্তর মেলেনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement