বিমানে বোমার আতঙ্ক ছড়ান মোহিনী মণ্ডল নামে এই তরুণী।
বিমানে বোমাতঙ্ক ছড়ানো তরুণী মোহিনী মণ্ডল জামিন পেলেন সোমবার। শনিবার রাতে কলকাতা থেকে এয়ার এশিয়ার উড়ানে মুম্বই যাওয়ার পথে মোহিনী বিমানে বসে দাবি করেছিলেন, তাঁর সঙ্গে বোমা রয়েছে। মাঝ আকাশ থেকে সেই বিমান কলকাতায় ফিরলে দেখা যায়, ওই তরুণী মত্ত অবস্থায় রয়েছেন। পরিবারের দাবি, মানসিক সমস্যার জন্য ওষুধ খান তিনি।
তরুণীর ওই কার্যকলাপে উড়ান সংস্থার সূচি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। আর্থিক ক্ষতিও হয় প্রচুর। অন্য যাত্রীদের মুম্বই পৌঁছতে এবং মুম্বই থেকে কলকাতায় আসার যাত্রীদের পাঁচ ঘণ্টা দেরি হয়ে যায়। তার পরেই প্রশ্ন উঠেছে, এই ধরনের ‘উচ্ছৃঙ্খল’ কোনও যাত্রীর জন্য এত মানুষের হেনস্থা হলে এবং বিপুল টাকার আর্থিক ক্ষতি হলে শাস্তির কী বিধান রয়েছে?
বিমান পরিবহণের কর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৩৭ সালের ‘এয়ারক্র্যাফ্ট রুল’-এ ‘উচ্ছৃঙ্খল’ যাত্রীর জন্য কিছু বলা ছিল না। ২০১৭ সালে শিবসেনার এক সাংসদ এয়ার ইন্ডিয়ার কর্মীকে থাপ্পড় মারার পরে উচ্ছৃঙ্খল যাত্রীদের জন্য নিয়ম তৈরি হয়। ওই সাংসদকে কিছু দিনের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। তখন তিনি কোনও বিমানে উঠতে পারেননি।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি বিমানে অভব্যতা করার জন্য এক মত্ত যাত্রীর দু’বছরের জন্য সাজা হয়েছে মুম্বইয়ে। বিমান পরিবহণের কর্তাদের কথায়, পুরোটাই নির্ভর করে পুলিশ কী ধরনের মামলা দিচ্ছে তার উপরে। উড়ান সংস্থার খবর, এই যাত্রীকে কালো তালিকাভুক্ত করা নিয়ে শীঘ্রই বৈঠকে বসা হবে। নতুন আইন অনুযায়ী, একই অপরাধ বারবার করলে দেশের সমস্ত উড়ান সংস্থাই সংশ্লিষ্ট যাত্রীকে কালো তালিকাভুক্ত করতে পারে।